Durnitibarta.com
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৮ মে ২০২৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে থেকে আজীবন কাজ করতে চান খায়রুল আলম

প্রতিবেদক
Dhaka Office
মে ৮, ২০২৫ ১:৪১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জাহাঙ্গীর আলম তপু: দেশের যে কোন জায়গায় নির্যাতিত নিপীড়িত সাংবাদিক ও গরিব দুঃখি, এতিম অনাথ, অসহায় মানুষের পাশে থেকে আজীবন কাজ করতে চান দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক নাগরিক সাংবাদিক মো. খায়রুল আলম রফিক।

খায়রুল আলম রফিক তিনি বলেন, দেশের যে কোন জায়গায় অন্যায়ভাবে সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হলে তা জীবন থাকতে বরদাশত করা হবে না। এছাড়া এতিম অসহায় হত দরিদ্র মানুষের উপকারে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান তিনি। এ বিষয়ে বহুদিন ধরে কাজ করছেন নাগরিক সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক। উনার সাথে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন জায়গায় অসহায়দের ১১টি ঘর করে দিয়েছেন। এছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরকে এ পর্যন্ত ৮২টি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি।

টিউবওয়েল বিতরণ করেছেন ১৭৯টি ও কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ভৈয়ারকোণা জামে মসজিদে এবং গৌরীপুরের রামগোপালপুর জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে ৪টি সাব-মারসিবল করে দিয়েছেন। সারাদেশে আহত ও খুন হওয়া ৩৩ সাংবাদিক পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন এই সাংবাদিক নেতা মো. খায়রুল আলম রফিক। নিজ অর্থায়নে তিনি তাদের আইসিটি মামলা থেকে ৬৫ জন সাংবাদিক কে জামিন করিয়েছেন। ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকায় ৬ জন এতিম মেয়েকে তিনি বিয়ে দিয়ে আলোচনায় এসেছেন। প্রতিবন্ধী ও শিকলে বাঁধা ২৫ জন অসহায় মানুষকে চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি। এসব কর্মকাণ্ড ফেইসবুক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার পাওয়ার পর থেকে তাকে কেউ কেউ মানবতার ফেরিওয়ালা উপাধি প্রদান করেছেন। সাংবাদিকসহ যে কোন নির্যাতিত মানুষের খবর পেলেই তিনি সেখানে ছুটে যান এবং তাদের পাশে দাঁড়ান। জানা যায়, খুনি ওসি প্রদীপ কর্তৃক কক্সবাজারের নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান মিথ্যা ও সাজানো ৭টি অস্ত্র মামলায় কারাগারে ছিলেন।

পরে তাকে কারামুক্ত করতে প্রথমে আন্দোলন শুরু করেন নাগরিক সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক। এরপরে দেশজুড়ে আরও নানা নির্যাতিত সাংবাদিকের পাশে দাঁড়ান তিনি। সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করেন এই সাংবাদিক নেতা। ওই আন্দোলনের খবর দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং সারা দেশে সাংবাদিকদের নামে মামলা হামলা হলে প্রথমেই তাকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। খায়রুল আলম রফিক বলেন, আমার গুরু চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাস ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাবেক সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার সাইদুর রহমান রিমন ভাইকে সাথে নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা সারাদেশে কাজ শুরু করেছি। দেশের যে কোন জায়গায় অন্যায়ভাবে সাংবাদিক নির্যাতন করা হলে তা জীবন থাকতে বরদাশত করা হবে না। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চাপ্রাশিরহাটে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের পরিবারের খোঁজ-খবর নিতে মুজাক্কিরের বাড়িতে গিয়েছেন, বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ(বনেক)’র সভাপতি , দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ এর সম্পাদক মোঃ খায়রুল আলম রফিক।

বনেক সভাপতি সাংবাদিক মুজাক্কিরের মা-বাবার সাথে কথা বলেন এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবী জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক অধিকারের প্রতিনিধি রহমত উল্যাহ, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রতিনিধি আবু রায়হান সরকার প্রমূখ।