বিশেষ প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বদেশী ইউনিয়নের নাশুল্লা গ্রামের মোঃ রইছ উদ্দিনের ছেলে শরীফ খান বাবুকে( ২২) গ্রেপ্তার করে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ।
মামলার অভিযোগে সুত্রে জানাযায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা ১৫ অক্টোবর সরকারি চাউল উত্তলনের জন্য স্বদেশী ইউনিয়ন পরিষদে গেলে প্রতিবেশী পেশায় অটো চালক ও এক সন্তানের জনক শরীফ খান বাবু সকাল ১১ টার দিকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ঘরে ডেকে নিয়ে ফুসলিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে তাহার দক্ষিণ দুয়ারী টিনের বসত ঘরে মাটিতে শুইয়ে তার পরনে থাকা পাইজামা উড়ুর অংশ ছিঁড়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
এই কথা কাউকে না বলার জন্য মেয়েকে মৃত্যুর ভয় দেখায়, এই তারিখেই বিকেল চারটার সময় বাড়িতে আসিয়া বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে গোসল করানোর সময় তার পরিহিত পায়জামা উরুর দিকে ছিঁড়া ও সন্দেহজনক বীর্যের উপস্থিতি দেখে জিঙ্গাবাদ করিলে উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত বলেন। পরে এই বিষয়ে প্রতিবেশি ও আত্মীয়-স্বজনকে জানালে বিবাদী পক্ষের লোকজন ধর্ষণ বিষয়ে ধামাচাপা ও আপোষ মিমাংসার কথা বলে।১৬ অক্টোবর মেয়ে সনিয়াকে ভাট্রা কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ নিয়ে যেতে চাইলে বিবাদী পক্ষের লোকজন বাধা প্রদান করে আপোষ মীমাংসার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। ২৩ অক্টোবর সকালে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ও,সি,সি) ভর্তি করেন। বর্তমানে মেয়ে এই হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করিতেছে,তাই মামলা করতে দেরি হইলো।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,ওই কিশোরীর মা আজ শনিবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।