Durnitibarta.com
ঢাকামঙ্গলবার , ১৫ অক্টোবর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভূমিহীন নাম ভাঙ্গিয়ে যমুনায় জেগে ওঠা চর দখল করছে প্রভাবশালীরা

প্রতিবেদক
Mym Office
অক্টোবর ১৫, ২০২৪ ২:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

তৌকির আহাম্মেদ হাসু, জামালপুর: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কাজিপুর উপজেলার মুনসুর নগর ইউনিয়নের শালদহ এলাকায় জেগে ওঠা যমুনার চরাঞ্চলে ঝুপড়ি ঘর উঠিয়ে জমি দখলের পায়তারা চলছে।ভুক্তভোগী প্রায় তিন সহস্রাধিক অসহায় কৃষকেরা প্রভাবশালী ভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন।

রবিবার উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মনসুরনগর ইউনিয়নের শালদহ, বামরামারি, মাজনাবড়ী ও মৈহাপুর মৌজার প্রায় দুই হাজার একর এলাকাজুড়ে যমুনার চরাঞ্চল জেগে উঠেছে।এতে ভূমিহীনদের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘর উঠিয়ে দখল করে নিচ্ছে চরাঞ্চল। এতে বঞ্চিত হচ্ছে নদী ভাঙ্গা অসহায় প্রকৃত জমির মালিক ও তাদের সন্তানেরা।

স্থানীয়রা জানান,দীর্ঘ ৫০-৬০ বছর পূর্বে যমুনার করাল গ্রাসে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি। বর্তমান সেই জমি নদীগর্ভ থেকে চর জেগে উঠায় চাষাবাদে উপযোগী হয়েছে। এখন সেই জমি এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জোরপূর্বক দখল করার পাঁয়তারা করছে বলে অসহায় কৃষকেরা অভিযোগ করছেন।

শালদহ গ্রামের কৃষক শাহিন আলম বলেন, আমাদের বাব-দাদার সম্পত্তি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। এখন চর জেগেছে অথচ সেই জমি ভূমিহীন না হয়েও ভূমিহীন সেজে জোর করে দখল করে নিচ্ছে।

শালদহ গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম মিয়া জানান, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি শালদহ গ্রামের ইলাহির ছেলে গনি গোয়াল, গনি গোয়ালের ছেলে জামিল গোয়াল, বাসেদ মিয়া ও হবি মেম্বর সহ তাদের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে দখল করে নেয়ার পাঁয়তারা করছে এবং আমাদেরকে জমিতে না যাওয়ার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জামিল গোয়ালের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা কারো জমি দখল করি নাই। আমরা কেন অন্যের জমি দখল করতে যাবো। ওখানে আমাদেরও বাপদাদার জমি আছে। সেই জমিতেই আমরা ঘর তুলেছি।

এ ব্যাপারে মনসুরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রাজমহর বলেন, শালদহ গ্রামের ইলাহির ছেলে গনি গোয়াল, গনি গোয়ালের ছেলে জামিল গোয়াল, বাসেদ মিয়া ও হবি মেম্বর সহ আরো লোকজন ক্ষমতার জোরে প্রায় তিনশত একর অন্যের জমি জোরপূর্ব দখল করে নিয়েছে। আসলে ওদের ওইসব জমির কোনো কাগজ পত্র নাই।

এ বিষয়ে কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন,  এ রকম কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসে নাই। নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি দিয়েছে কিনা জানিনা। যদি আসে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।