বার্তা ডেস্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথোপকথনকারী বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবিরকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে বরগুনার থানার উপপরিদর্শক শামিম আহম্মেদ বাদী হয়ে সোমবার বরগুনা থানায় তার নামে মামলা করেন। জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা রয়েছে। তিনি বরগুনা জেলহাজতে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ আগস্ট রাত ৮টার দিকে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির তার আমতলাপাড় বাসায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভিডিওটি পর্যালোচনায় বাদী দেখতে পান, অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ১২ আগস্ট রাত ৮টার দিকে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির তার কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন।
ওই ভিডিওতে আরও শোনা যায় শেখ হাসিনা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে বিভিন্ন যড়যন্ত্র করেন। এ সময় জাহাঙ্গীর কবিরের সঙ্গে থাকা সমর্থকরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। জাহাঙ্গীর বলেন, আপা আপনি ঘাবড়াবেন (ভয়) না। আপনি ঘাবড়ালে আমরা দুর্বল হয়ে যাই।
ভাইরাল ভিডিওতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাহাঙ্গীর কবিরসহ তার সমর্থকদের দেখা যায়।
এ ব্যাপারে কথা হলে ওই ভিডিও তিনি ভাইরাল করেননি বলে দাবি করেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর।
বুধবার দুপুরে বরগুনার কোর্ট বারান্দায় তিনি বলেন, আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফোন দেইনি। তিনি আমাকে ফোন দিয়েছেন। আমি একটি বাটন ফোন ব্যবহার করি। আমার ফেসবুক আইডিও নেই। আমি সাধারণ জীবনযাপন করি। টাচ্ ফোন চালাতে পারি না। কে বা কারা ফোনালাপ ভাইরাল করেছে, তা আমি জানি না।
মামলার বাদী বরগুনা থানার উপপরিদর্শক শামিম আহম্মেদ বলেন, জাহাঙ্গীর কবিরকে ১৩ আগস্ট একটি চাাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আরেকটি চাাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলা নিয়ে তিনটি মামলা হলো। মামলার তদন্ত চলমান।