আবদুল কাদির :
ময়মনসিংহের সানকিপাড়া রেললাইন বাজার সংলগ্ন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর ভিকটিম রাজুকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার পলাতক আসামী শান্ত ও মন্টু কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৪) ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহ (র্যাব-১৪)এর উপ-পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, ময়মনসিংহের সানকিপাড়া এলাকার নিহতের বড় ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন ও গ্রেফতারকৃতরা পরস্পর বসবাস করতো। তাদের মধ্যে প্রায় সময় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিলো। গত ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা নিহত রাজু ময়মনসিংহ নগরীর কালীবাড়ী ব্রীজ মোড় এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসা হতে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল যোগে সানকিপাড়া যাওয়ার পথে সানকিপাড়া রেল গেইট মসজিদ মার্কেট সংলগ্ন জুই মেডিসিন কর্ণার এর সামনে পৌঁছা মাত্রই বিবাদীরা চাইনিজ কুড়াল, রাম দা, চাকু, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে ভিকটিম রাজুর পথরোধ করে মাথায়, ঘারে, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং মোটর সাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভিকটিম রাজু কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা এলাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নিহতের বড় ভাই মোঃ আবদুল্লাহ্ আল মামুন বাদী হয়ে ১৭ জন’সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪,৫ জন’কে আসামী করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে ময়মন- সিংহ র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক মোঃ মহিবুল ইসলাম খান’র নির্দেশে রবিবার দুপুর ১২.৩০ টার দিকে সানকিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার দুই আসামী শান্ত ও মন্টুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও জানান
এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও র্যাব’র অভিযান অব্যাহত থাকবে।
