অনলাইন ডেস্ক: জাতিসংঘ বলছে, গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ও শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে। এমনকী গর্ভবতী নারীরাও না খেয়ে অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। তাদের সাহায্য করতে গাজায় প্লেন থেকে ফেলা ত্রাণ অনিয়ন্ত্রিতভাবে মাথায় পড়ে অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, একটি প্যারাসুটে বাধা ত্রাণ সঠিকভাবে না পড়ায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং এতে পাঁচজন মারা যান।
গাজার এক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। তবে কোন দেশের প্লেন থেকে এসব ত্রাণ ফেলা হয়েছিল তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, মিশর, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম গাজায় প্লেন থেকে বিভিন্ন ধরণের ত্রাণ ফেলছে। জর্জানের রাষ্ট্রীয় টিভি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে জর্ডানের কোনো প্লেনের সংশ্লিষ্টতা নেই।মার্কিন জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেছেন, প্লেন থেকে তারা যে ত্রাণ ফেলেছেন সেগুলো নিরাপদে মাটিতে পৌঁছেছে। তাদের ফেলা সহায়তার মাধ্যমে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার (৮ মার্চ) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি সি-১৭ কার্গো বিমান থেকে গাজা শহরের উত্তরে আল শাতির ওপর দিয়ে প্লেন থেকে সহায়তা ফেলা হচ্ছে। গত কয়েকমাসে কোনো ধরণের সহায়তা না পাওয়া এলাকা ছিল এটি।
মূলত এই ত্রাণ সহায়তা প্যারাসুটের মাধ্যমে নিচে ফেলা হয়। কিন্তু প্যারাসুট যথাযথভাবে না খোলার কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে নিচে পড়ে।শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এই সপ্তাহের শেষের দিকে সহায়তা পাঠানোর কাজ শুরু হতে পারে এমন চিন্তা থেকে তারা গাজায় একটি অস্থায়ী সমুদ্র বন্দর চালুর পরিকল্পনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা গাজায় সরাসরি সাহায্য পাঠানোর জন্য দ্রুত একটি অস্থায়ী বন্দর নির্মাণ করবে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন এটি তৈরি করতে কমপক্ষে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। গাজায় সড়ক পথে ত্রাণ পাঠানোর সুযোগ বৃদ্ধি করতে পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলকে অব্যহতভাবে চাপ দিচ্ছে এবং ত্রাণ পাঠানোর পথ সহজ করার জন্যও বলা হচ্ছে।