Durnitibarta.com
ঢাকাসোমবার , ২৭ নভেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাংবাদিক ইলিয়াসের মামলার চার্জ শুনানি ১৮ জানুয়ারি

প্রতিবেদক
Mym Office
নভেম্বর ২৭, ২০২৩ ২:১০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বার্তা ডেস্ক: মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের দায়ের করা মামলায় সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ দুই জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শুনানির জন্য আগামী বছরের ১৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (২৬ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত এ দিন ধার্য করেন। মামলার অপর আসামি হলেন বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম জানান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ২ অক্টোবর সাংবাদিক ইলিয়াসকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকা বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেন আদালত। ইতিমধ্যে পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের ১৮ জানুয়ারি এ মামলার চার্জগঠন শুনানির তারিখ ধার্য করেন আদালত।

গত ২৫ জুলাই এ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে মামলা থেকে পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে প্রবাসী ‘সাংবাদিক’ ইলিয়াস হোসেন তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। সেই ভিডিওতে দাবি করা হয়, এই মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার। এছাড়াও বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনও করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরেট নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

পিবিআই’র তদন্তে বেরিয়ে আসে, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ অভিযোগে ২০১২ সালের ১২ মে বাবুলের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই এ মামলায় বাবুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়।