লুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে প্রকাশ্যে মসজিদের ভিতর ইসমাইল হোসেন রবিন ফকির নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
রোববার সন্ধায় উপজেলার নাগলা বাজারে আমতৈল ইউনিয়ন বাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এর আগে গত ৫ মার্চ বুধবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইফতারির সময় প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রবিনের উপর হামলা করার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় রুস্তম ফকির ও তার ছেলে রাসেল ফকির, একই এলাকার সায়েম, আকরাম, দিপু, জুয়েল, আশিক, মোত্তাকিন, আকবর আলী, কামাল ও রিফাত গং এর বিরোদ্ধে।
আহত ইসমাঈল হোসেন রবিন ফকির বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার আমতৈল ইউনিয়নের নাগলা ফকির বাড়ির এলাকায়। সে হারুনুর রশিদের পুত্র। এঘটনায় তার স্ত্রী বাদি হয়ে হালুয়াঘাট থানায় একটি মামালা দায়ের করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্যে লিজা আক্তার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাসেল তাঁর ক্যাডার বাহীনি নিয়ে প্রকাশ্যে রবিনের উপর হামলা করে। রবিন জান বাঁচাতে মসজিদে ডুকে পরলেও হামলাকারীরা তাকে সেখানেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এখন সে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা এ ঘটনায় তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
নজরুল ইসলাম বলেন, হামলায় প্রধান পরিকল্পনাকারী ও গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী রাছেল ফকির ঢাকা সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অফিসে এম এল এস (পিওন) পদে চাকুরী করে। সে ডিউটি ফাঁকি দিয়ে মাসের বেশীরভাগ সময় বাড়িতে অবস্থান করে। গত বুধবার সে বাড়িতে অবস্থান করে রবিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলায় নেতৃত্ব দেয়। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ফুলপুর থেকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে জানতে রুস্তম ফকিরের বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পাওয়া গেলেও রাছেল ফকিরের স্ত্রী মৌ বলেন, আমার স্বামীর সাথে রবিনের বিরোধ ছিল। রাছেল ফকির সরকারি চাকুরী করে ছুটি নিয়ে বুধবার বাড়িতে এসেছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেদিন সে ছুটি নিয়ে আসেনি। এ বিষয়ে তিনি আর কোন কথা বলতে রাজি হননি।