ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে আশ্রয় দেয়ার কথা বলে অন্তঃসত্ত্বা এক তরুনীকে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৮ মার্চ) দিবাগত রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ঋষিপাড়া নয়াবাড়ী এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। শারীরিক পরিক্ষা নিরীক্ষার জন্য রোববার (৯ মার্চ) সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, ওই গৃহবধুর বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উপজেলায়। স্বামীর সাথে অভিমান করে গতকাল শনিবার বাড়ি থেকে লঞ্চে করে ঢাকা সদরঘাটে আসেন। সদরঘাট থেকে কেরানীগঞ্জ ইকুরিয়া এলাকায় আসলে রাত হয়ে যায়। রাত আনুমানিক ১০টার দিকে দুই যুবকের সাথে কথা হয় তার। তারা ওই গৃহবধুকে আশ্রয় দেয়ার কথা বলে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আরও দুজন আগে থেকেই ছিল। ৩ জন মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আরেকজন ধর্ষণের চেষ্টা করলে তার চিৎকারে আশেপাশের মানুষ জড়ো হয়ে দুজনকে ধরে পুলিশে সোর্পদ করে। বাকী দুজন পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ২০। গৃহবধু জানিয়েছেন, তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, ওই তরুণী সনাতন ধর্মাবলম্বী। গোপনে ইসলাম ধর্মাবলম্বী এক ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন। তবে সেই ছেলের সাথে বনিবনা না হওয়ায় বাবার বাড়িতে চলে যান। তবে বাবার বাড়িতে জায়গা না পেয়ে বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে আসেন।