আবদুল কাদির :
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে শবে মেরাজ উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে,যেখানে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ দিনটি নিয়ে আলোচনা করা হয়। শবে মেরাজ,যা মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র একটি রাত,তা স্মরণে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার(২৭ জানুয়ারি/২৫)বিকালে স্থানীয় হারুন পার্কে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পবিত্র মি’রাজুন নবী (সাঃ) এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গৌরীপুর পৌর শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত সভায় ‘আল্লাহর আইন চাই সৎ লোকের শাসন চাই’এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গৌরীপুর পৌর জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আব্দুন নূরের সভাপতিত্বে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দ।
আলোচনা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গৌরীপুর উপজেলা আমির হযরত মাওলানা বদরুজ্জামান,জামায়াতে ইসলামী গৌরীপুর উপজেলা সেক্রেটারী হাফেজ হযরত মাওলানা আবু ইউসুফ। উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির এডভোকেট সৈয়দ গোলাম সারওয়ার। গৌরীপুর পৌর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- গৌরীপুর পৌর শাখার সেক্রেটারী মো: মাজহারুল ইসলাম,২নং গৌরীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শরিফুল ইসলাম,ডৌহাখলা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা ফজলুল হক, বোকাইনগর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মোঃ আল মামুন ফকির, সেক্রেটারী মোঃ আনিসুর রহমান,রামগোপালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী রুহুল আমিন, ছাত্র শিবির গৌরীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ সালেহীন কবির, সেক্রেটারী মোঃ মিজানুর রহমান সহ আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইসলামিক ব্যক্তিবর্গ।
আলোচনা সভায় শবে মেরাজের তাৎপর্য, নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মহিমান্বিত রাতের ঘটনাবলী এবং মুসলমানদের জীবনযাপনে তার শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তারা বলেন, শবে মেরাজ একটি বিশেষ রাত, যখন আল্লাহ তাআলা নবী করিম (সাঃ)-কে আকাশে মিরাজে নিয়ে যান, এবং সেই রাতের ঘটনার মাধ্যমে মুসলিমদের জন্য অনেক মূল্যবান শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে।
শবে মেরাজ আমাদের শেখায় যে, আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে হবে এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। এই রাত আমাদেরকে ভালো কাজ করার,পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার শক্তি যোগায়।
এছাড়া,বক্তারা ইসলামিক মূল্যবোধ এবং সমাজে শান্তি ও ঐক্য বজায় রাখার জন্য শবে মেরাজের শিক্ষা অনুসরণের প্রতি গুরুত্ব দেন।
এ অনুষ্ঠানটি গৌরীপুরের স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে এক ধরনের ধর্মীয় প্রাণবন্ততা সৃষ্টি করেছে এবং সকলের মধ্যে ধর্মীয় ঐক্য ও সহমর্মিতা বৃদ্ধির আশাবাদী মনোভাব তৈরি করেছে।