দেশব্যাপী অপরাধের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, যা সমাজের জন্য একটি গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম সত্ত্বেও সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি, হত্যাসহ নানা ধরনের অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে, যা সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তুলছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, অপরাধের এই বৃদ্ধি সমাজে বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাহীনতার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের দুই মাসে (সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর) সারা দেশের থানাগুলোয় মামলা হয়েছে ২৫ হাজার ৪৫৬টি। এর মধ্যে খুন ও ধর্ষণের মামলা হয়েছে ১ হাজার ২৯৬টি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৫২২টি (রোহিঙ্গা খুনের তথ্য এখানে নেই)। ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে ১১১টি। ওই দুই মাসে দস্যুতার ঘটনায় ২৩১টি, দ্রুত বিচার আইনে ২২১টি, দাঙ্গা সংক্রান্ত ২৪টি এবং ধর্ষণের ঘটনায় ৭৭৪টি মামলা হয়েছে। এছাড়া নারী নির্যাতনের ১ হাজার ৮৩৩, শিশু নির্যাতনের ৫২৯, অপহরণের ১৬১, পুলিশ আক্রান্তের ৫৮, সিঁধেল চুরির ৪৮১ এবং চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ৩২৮টি। অন্যান্য কারণে মামলা হয়েছে ১৩ হজার ২১১টি। ওই দুই মাসে অস্ত্র আইনে ২৭০, বিস্ফোরক আইনে ২১৪, মাদকসংক্রান্ত ৫ হাজার ৯৯ এবং চোরাচালানসংক্রান্ত মামলা হয়েছে ৩৩৮টি।
বর্তমানে হত্যাকাণ্ড, ছিনতাই, চুরি, মবজাষ্টিজ (জনগণের আদালত), ধর্ষণ, সাইবার ক্রাইম, মারামারি, কিশোর গ্যাং এবং চাদাবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনা প্রতিদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপরাধীদের নৃশংসতা এবং পেশাদারিত্বের কারণে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা নাগরিকদের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর পুলিশ একটা ট্রমার মধ্যে ছিল। এখনো পুরো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তবে পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটাই উন্নতির দিকে। ছিনতাই বেড়েছে। তবে ছিনতাই-ডাকাতি রোধে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও জনমনে স্বস্তি ফেরাতে কমিউনিটি পুলিশকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।’
নতুন সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে কিশোর গ্যাং। বিভিন্ন শহরে কিশোরদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ যেমন, মারামারি, চাদাবাজি, রাহাজানি এবং মাদক ব্যবসা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এসব গ্যাং সদস্যরা দিনে দিনে আরও সংঘবদ্ধ এবং শক্তিশালী হয়ে উঠছে, যা জনসাধারণের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১ জানুয়ারি রাত দেড়টার দিকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ঢাকা থেকে গাজীপুরের শ্রীপুরে নিজ বাড়ি ফেরেন হাসিবুল ইসলাম (৪০)। বাসার সামনে গাড়ি দাঁড় করানোর পরপরই ৮-১০ মাদকাসক্ত কিশোর গাড়ির ভিতরে তাঁর স্ত্রী, শ্যালকের স্ত্রীকে দেখে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি শুরু করে। বাধা দিতে গেলে তারা হাসিব এবং তাঁর শ্যালক হানিফ ও গাড়িচালক শিমুলের ওপর হামলে পড়ে। জীবন রক্ষায় বাড়ির ভিতর ঢুকেও বাঁচতে পারেননি হাসিব।
২২ জানুয়ারি মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে রুবেল (৩২) নামে এক যুবককে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল জাদুরানী বাজারের একটি বট গাছে দুই হাত বেঁধে ঝুলিয়ে নৃশংসভাবে পেটানো হয়। একপর্যায়ে তার দেহ নিথর হয়ে পড়ে। গুরুতর অবস্থায় হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রুবেল স্থানীয় গোগর গ্রামের পটুয়াপাড়ার মো. খলিলের ছেলে।
কেবল ওপরের দুটি ঘটনা নয় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর কোথাও না কোথাও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে ১৬ নভেম্বর খুন, ডাকাতি ও আট মাসের শিশু অপহরণের মতো চাঞ্চল্যকর তিনটি ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। ওইদিন পশ্চিম ধানমন্ডি এলাকায় বাসায় ঢুকে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এক চিকিৎসককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আজিমপুর এলাকার এক বাসা থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের পাশাপাশি গৃহকর্তার ছোট্ট শিশুকেও তুলে নিয়ে যায় ডাকাতরা। ২০ নভেম্বর হাজারীবাগে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়াকে। এর আগের দিন সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে শাহজাহানপুরে খুন হন ইসমাইল হোসেন রাহাত নামের এক শিক্ষার্থী। ২৮ অক্টোবর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত হয় ১৩ বছর বয়সি এক কিশোর। এর আগের দিন রামপুরায় খুন হন এক রিকশাচালক। ২১ অক্টোবর তেজগাঁওয়ে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইমরান হোসেন নামের এক যুবক। ২০ অক্টোবর রামপুরার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের লাশ। ১১ অক্টোবর মোহাম্মদপুরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় রবিউল ইসলাম নামের এক নৈশপ্রহরীকে। ফ্ল্যাট নিয়ে বিরোধের জেরে ১০ অক্টোবর পিটিয়ে হত্যা করা হয় তামিম নামের এক যুবককে। ৭ অক্টোবর যাত্রাবাড়ীতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তিকে। এর আগের দিন উত্তরায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান সোহান হোসেন সোহাগ নামের যুবক। ৩০ অক্টোবর যাত্রাবাড়ীতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় রাসেল শিকদার নামের এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীকে। ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানে এক দোকান মালিক ও তার কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর বনানীতে ছোট ভাইয়ের হাতে খুন হন বড় ভাই। ২১ সেপ্টেম্বর ছিনতাইকারীর হাতে নির্মমভাবে খুন হন রিকশাচালক জিন্নাহ মন্ডল। এর আগের দিন মোহাম্মদপুরে নাসির বিশ্বাস নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় আহত হন আরও একজন। ওইদিন আফতাবনগরের ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয় বাংলাদেশ মহিলা সমিতির এক প্রশিক্ষকের লাশ। ১৭ সেপ্টেম্বর বাড্ডায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় গৃহবধূ বিথী আক্তারকে। ১৪ সেপ্টেম্বর মুগদায় তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় শাকিল নামের এক যুবককে।
মঙ্গলবার বিকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে তার সমর্থকদের হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হন। ঘটনাটি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়। পাবনায় গত দেড় মাসে খুনের ঘটনা ঘটেছে সাতটি। এ হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে ১৭ নভেম্বর তুষার হোসেন (১৬) নামের কিশোরকে কুপিয়ে খুন এবং ১৮ নভেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে ওয়ালিফ হোসেন মানিক (৩৫) নামের এক যুবলীগ কর্মীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা দুটি ছিল খুবই চাঞ্চল্যকর। ২৫ নভেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিজ দলের প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন বিলাল আহমদ মুন্সী (৩৫) নামের এক যুবদল কর্মী। ৩১ অক্টোবর সুনামগঞ্জে বসতঘরের ভেতর মা ও ছেলেকে হত্যার ঘটনাটি দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় বাড়ির ডিপ ফ্রিজ থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায়ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। নভেম্বরের দুই সপ্তাহে রূপগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ ও ঝিনাইদহে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই করা হয়। ১০ নভেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় বাসস্ট্যান্ডে এক পুলিশ সদস্যকে ‘ভুয়া পুলিশ’ আখ্যা দিয়ে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
এমন ঘটনা প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। খোদ রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব এলাকায় সাম্প্রতিককালে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদদে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া হালে জামিনে মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আবারও তৎপর হয়ে পড়েছে।
এছাড়া, মবজাষ্টিজ (জনগণের আদালত) একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে আইন হাতছাড়া হয়ে জনগণ নিজেদের হাতে শাস্তি দিতে চায়। এই ধরনের কর্মকাণ্ডে অতি উৎসাহিত জনতা নির্দিষ্ট অপরাধীকে আইন না মেনে শাস্তি প্রদান করে, যা আরও বিশৃঙ্খলা এবং সামাজিক অবিশ্বাস সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞানী ড. মাহমুদুল হক বলেন, “অপরাধ বৃদ্ধির মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সামাজিক অস্থিরতা, দারিদ্র্য, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের অভাব। যখন সমাজে মানুষের কাছে ভবিষ্যতের কোনো নিরাপত্তা থাকে না, তখন তারা অপরাধের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। তবে, সঠিক আইন প্রয়োগ, শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।”
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরে সারা দেশে ডাকাতি, চুরি, দস্যুতা, সিঁধেল চুরির মামলা বেড়েছে। আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ডাকাতি মামলা বেড়েছে ২০টি। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর ও নভেম্বরে বেড়েছে আরো বেশি।
জানা গেছে, রাজধানী ঢাকায় সবচেয়ে বড় অস্বস্তি তৈরি করেছে ছিনতাই। যত্রতত্র ছিনতাই হচ্ছে। পুলিশ ও ঢাকার আদালতের তথ্যানুযায়ী, ঢাকার ৫০ থানা এলাকায় ১ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪০ দিনে অন্তত ৩৪ জন ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মামলা করেছেন। এ সময় একজন ছিনতাইকারীর হাতে নিহত হয়েছেন। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও চারজন। ৫ আগস্ট থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে চার মাসে ছিনতাইকারীর হামলায় নিহত হয়েছেন সাতজন। ১৮ ডিসেম্বর মেয়র হানিফ উড়ালসড়কে ছিনতাইকারীর হামলায় নিহত হন কামরুল হাসান। ১৫ ডিসেম্বর মগবাজারে হাবিব উল্লাহ নামে এক তরুণ ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। গত বৃহস্পতিবার রাতে কামরাঙ্গীরচর বেড়িবাঁধ এলাকায় সজল রাজবংশী নামে ব্যবসায়ীকে গুলি করে প্রায় ৭০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ে অংশ নেওয়া দুর্বৃত্তরাও কিশোর বয়সি।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধ দমন এবং প্রতিরোধে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের মানুষেরও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সামাজিক সংগঠন এবং জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরাধ মোকাবিলায় একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশেষ করে শহরাঞ্চলে মহিলাদের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, মাদক সেবন, সাইবার অপরাধসহ নানা ধরনের অপরাধ বেড়ে গেছে। সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রে, হ্যাকিং, তথ্য চুরি, প্রতারণা এবং অনলাইন হিংসা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা নতুন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করেছে। অপরাধীরা এখন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে, ফলে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এদিকে, ফেসবুকে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে দুটি পেজ পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। বৃহস্পতিবার ঢাকার শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। এর আগে ১১ জানুয়ারি একটি পেজ থেকে প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন এমন গুজব ছড়ানো হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘সাধ্যানুযায়ী অপরাধ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্যও আমাদের বিশেষায়িত টিম কাজ করে যাচ্ছে। নিয়মিত প্যাট্রোলিং করা হচ্ছে সাইবারজগৎ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক, সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি অপরাধের সঙ্গে যারা জড়াচ্ছে তার বেশির ভাগই তরুণ বা কিশোর। তারা চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি কিংবা মব জাস্টিস বা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। কারও কোনো আচরণ পছন্দ না হলে কিংবা আগের অভিযোগ বা ক্ষোভ থেকে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সুযোগ বুঝে প্রতিশোধ নিতে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। অন্যের অধিকারের প্রতি সম্মান না দেখানোয় সমাজে জটিলতা তৈরি হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের ভাষা, চাহিদা বা আশা-আকাক্সক্ষা গণতান্ত্রিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোকে বর্তমান ও আগামী রাজনীতির বিষয়ে জনগণকে স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। জনগণ যখন দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এসব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাবে তখন এ ধরনের গুজব অনেকটাই কমে যাবে।’
খাইরুল ইসলাম আল আমিন
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
ময়মনসিংহ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন