অনলাইন ডেস্ক: নাটোরে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পেটানোর সাতদিন পর সাইদুর রহমান বাবু (৪৯) নামের এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাইদুর রহমান সদর উপজেলার দরাপপুর গ্রামের মৃত মতিন মাস্টারের ছেলে। পেশায় মৎস্যচাষী হলেও তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন সাইদুর রহমান ও তার ভাইদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। তখন থেকে তিনি ও তার তিন ভাই আত্মগোপনে ছিলেন। গত ৩০ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে এলাকার একটি বাড়ি থেকে সাইদুরকে আটক করে দরাপপুর বাজারে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তাকে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রড ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দিন বিকালে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী বলেন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কাবির হোসেন কাঙ্গালের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা সাইদুর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তারা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কাবির হোসেন কাঙ্গালের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নাটোর সদর থানার ওসি মাহবুর রহমান বলেছেন, মারধরের বিষয়টি সেসময় আমাদের কেউ জানায়নি। আজ পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়েরের কথা। অভিযোগ পেলে তদন্ত কওে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।