স্পোর্টস ডেস্ক: এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-২ এ খেলতে যাওয়ার কথা ছিল ইরানের তাবরিজে। কিন্তু ইরানি ক্লাব ট্র্যাক্টর এফসির বিপক্ষে খেলতে যেতে অস্বীকৃতি জানায় ভারতীয় ক্লাব মোহনবাগান। যে কারণে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এএফসি) পক্ষ থেকে শাস্তি পেতে হলো কলকাতার ক্লাবকে।
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-২ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে মোহনবাগানকে। তবে এএফসি একটু ভদ্রোচিতভাবে জানিয়েছে, ‘লিগের নিয়ম অনুযায়ী মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-২ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। ফলে মোহনবাগানের সব গোল ও পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়েছে। তাদের খেলা ম্যাচ বাতিল হিসাবে ধরা হবে।
’ অর্থাৎ, এএফসি সরাসরি মোহনবাগানকে বাদ দেওয়ার কথা না জানালেও তাদের নিয়ম অনুযায়ী টুর্নামেন্ট থেকে এমনিতেই বাদ পড়েছে কলকাতার সবুজ-মেরুন ক্লাবটি। সোমবার এএফসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘২ অক্টোবর ইরানের তাবরিজে ট্র্যাক্টর এফসির বিরুদ্ধে খেলা ছিল মোহনবাগানের। সেখানে তারা খেলতে যায়নি। তাই এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ৫.২ ধারা অনুযায়ী ধরে নেওয়া হয়েছে যে মোহনবাগান এই প্রতিযোগিতা থেকে তাদের নাম তুলে নিয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘টুর্নামেন্টে নিয়মের ৫.৬ ধারা অনুযায়ী, এই প্রতিযোগিতায় মোহনবাগান এখনও পর্যন্ত যতগুলি ম্যাচ খেলেছে সবগুলি বাতিল হিসাবে ধরা হচ্ছে। ৮.৩ ধারা অনুযায়ী, গ্রুপ এ-র পয়েন্ট তালিকা হিসাব করার সময় মোহনবাগানের পয়েন্ট বা কোনও গোল হিসাব করা হবে না। ফলে গ্রুপটি এখন তিন দলের ধরা হবে।’ যদিও এখনও একটি আশা আছে মোহনবাগানের। এএফসি’র এ সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কমিটির অধীনে যাবে। তারা যদি বিবেচনা করে যে মোহনবাগানের ইরানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত যথাযথ, তা হলে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন হলেও হতে পারে। তবে সে সম্ভাবনা খুব কম।
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এ মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ ছিল রাভশান এফসির বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচ ড্র হয়েছিল। ২ অক্টোবর ট্র্যাক্টর এফসির বিরুদ্ধে খেলা ছিল বাগানের। তার আগের রাতে ইজরায়েলের ভূখ-ে মিসাইল আক্রমণ করে ইরান। ফলে দেশটির পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় ভারতসহ বেশির ভাগ দেশের সরকারই তাদের জনগণকে ইরানে যেতে নিরুৎসাহিত করে।
মোহনবাগানের বেশিরভাগ বিদেশি ফুটবলার অস্ট্রেলিয়ার। সে দেশের পক্ষ থেকে ইরানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক খেলোয়াড় এবং তিন কোচিং স্টাফ স্পেনের। বাকিরা স্কটল্যান্ড এবং পর্তুগালের। সব দেশের পক্ষ থেকেই ইরানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।