Durnitibarta.com
ঢাকাবুধবার , ৪ অক্টোবর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডেস্ক জবে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে

প্রতিবেদক
Mym Office
অক্টোবর ৪, ২০২৩ ৯:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক নিউজ: বর্তমানে কমবেশি সবাই কর্মক্ষেত্রে ৮-১০ ঘণ্টা কিংবা এরও বেশি সময় ধরে ডেস্কে বসে থাকেন। এর ফলে বাড়ছে কঠিন রোগের ঝুঁকি। তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিমনেশিয়া।

আগে তরুণদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কম ছিল, এটি বয়স্কদের রোগ হিসেবেই বিবেচনা করা হত। তবে সাম্পতিক তথ্য বলছে, ডেস্ক জবের কারণে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ছে তরুণদের মধ্যে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ৫৫ মিলিয়ন মানুষ ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন। আর প্রতিবছর প্রায় ১০ মিলিয়ন নতুন কেস রিপোর্ট করা হচ্ছে।

জামা’র (JAMA) নতুন এক সমীক্ষা এটিকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। এতে দেখা গেছে, অলস জীবনধারায় অভ্যস্ত মানুষের মধ্যে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

এই গবেষণার জন্য ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ৪৯ হাজার ৮৪১ জন প্রাপ্তবয়স্কদের ইউকে বায়োব্যাংক থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন গবেষকরা।

এই গবেষণার প্রধান লেখক ও সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডেভিড রাইচলেন বলেন, ‘সারাদিন অফিসে বসে থাকা, তারপরে টিভির সামনে ও গাড়িতে মোটামুটি সবক্ষেত্রেই বসে থাকার অভ্যাস বাড়ছে। যা শরীরে ও মনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। নিয়মিত শরীরচর্চা করেও এর থেকে রক্ষা পাওয়া বোধ হয় সম্ভব নয়।’

বিশেষজ্ঞরা জানান, ডিমেনশিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ উপেক্ষা করা বিপজ্জনক হতে পারে। প্রাথমিক রোগ নির্ণয় জ্ঞানীয় স্বাস্থ্যের পতন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এজন্য সবার উচিত ডিমেনশিয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে সতর্ক হওয়া।

যেমন- সাম্প্রতিক কোনো ঘটনা ভুলে যাওয়া, জিনিসপত্র হারানো বা ভুল জায়গায় রাখা, এমনকি পরিচিত জায়গায় হারিয়ে যাওয়া, সময়ের ট্র্যাক হারানো, যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে না পারা বা সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা, কথোপকথনে সমস্যা বা শব্দ খুঁজে পেতে সমস্যা ইত্যাদি লক্ষণ দেখলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।

শুধু ডিমেনশিয়া নয়, যারা সারাদিন ডেস্কে বসে কাজ করেন কিংবা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘরে বসে শুয়ে থাকেন তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

দ্য ল্যানসেট পাবলিক হেলথ গবেষণার সমীক্ষা বলছে, নিয়িমিত শরীরচর্চা হার্ট অ্যাটাক ও অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারে। গবেষকরা প্রায় আট বছর ধরে যুক্তরাজ্যের ২৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্কদের ট্র্যাক করার পর এই সিদ্ধান্তে এসেছেন।