ডেস্ক নিউজ:
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জার্মান আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বাংলাদেশ থেকে টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান এমপি, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আ,স,ম রেজাউল করিম।
এছাড়া সশরীরে উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণ করেন প্রধান অতিথি সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম।
প্রধান বক্তা ছিলেন সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ কাশেম ও সহ-সভাপতি মনজুরুল হাসান চৌধুরী, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান , সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সভাপতি তাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান, ইতালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল হক, সুইডেন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনজুরুল হাসান, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান , স্পেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিজভী আলম প্রমুখ।
ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল আলম জসিম। এছাড়া পোল্যান্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, নরওয়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত গীতা ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয় এবং এক মিনিট নীরবতার মাধ্যমে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর সকলে দাঁড়িয়ে সমবেত জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে স্বতঃস্ফূর্ত সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।
দ্বিতীয় অধিবেশনে একুশ পদকপ্রাপ্ত লেখিকা নাজমুন নেসা পিয়ারি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান খসরু (চেয়ারম্যান) বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুম মিয়া (কো-চেয়ারম্যান), বীর মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলী খান (কো- চেয়ারম্যান), সম্মেলন পরিচালনা পরিষদের নেতৃত্বে সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন পরিচালনায় ১৩ বিচক্ষণ নির্বাচন কমিশনারের মাধ্যমে আগামী তিন বছরের জন্য উপস্থিত সকল কাউন্সিলরের সরাসরি ভোটার অনুমতি সাপেক্ষে চতুর্থবারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয় বশিরুল আলম চৌধুরী সাবু এবং দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আব্বাস আলী চৌধুরী।
সম্মেলনে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সকল নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার নেমে আসে। উপস্থিত ইউরোপের সকল দেশের নেতৃবৃন্দ জার্মান আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে শিক্ষনীয় একটি ব্যতিক্রমধর্মী সম্মেলন হিসাবে আখ্যা দেন।