বার্তা ডেস্ক: গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে পদত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ সপ্তাহ পরে সামনে এলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র। কিন্তু ফেসবুকে ভাইরাল এই পদত্যাগপত্রটি আদৌ সত্য কিনা তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।
ফেসবুকে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়া ওই পদত্যাপত্রে দেখা গেছে, এটি গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো হয়েছিলো।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমি (শেখ হাসিনা) গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাতে চাই যে, সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে, যেখানে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং আর কোনো প্রাণহানি এড়ানোর জন্য আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এ ঘটনাগুলোতে আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব স্বীকার করছি এবং এ দেশের জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণের প্রতি আমার অঙ্গীকার সবসময় অটুট থাকবে।
চিঠিতে শেখ হাসিনা আরও উল্লেখ করেন, গত পনেরো বছর ধরে আমি আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি, যা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি প্রমাণ করেছে যে, এ মুহূর্তে দেশকে এগিয়ে নিতে অন্য নেতৃত্বের প্রয়োজন। আমি আশা করি, আমার পদত্যাগ বাংলাদেশের উন্নয়নের নতুন পথ খুলে দেবে এবং শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
এই কঠিন সময়ে আমার সরকার যা কিছু করেছে, তার জন্য আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত। আমি সব বাধ্যবাধকতা মেনে নিচ্ছি এবং এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বৃহত্তর স্বার্থে নিয়েছি।
যদিও পালিয়ে যাওয়ার পর খোদ শেখ হাসিনা এক বার্তায় দাবি করেন তিনি পদত্যাগ করেননি। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ও একাধিকবার দাবি করেছেন যে, তার মা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। তাছাড়া ভারতীয় গণমাধ্যম ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও একই দাবি করেন। এমনকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও এটি ভুয়া বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।