মনিরুল ইসলাম আসাদ : ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাবেক প্রধান ডিআইজি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদসহ ১০ প্রভাবশালী ডিআইজি নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রটেছে। কেউ কেউ বলছেন, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তারা । তবে, সে বিষয়েও নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ। অবশ্য এর আগে ডিআইজি হারুন পুলিশ সদর দপ্তরের দেয়াল টপকে পালিয়ে যান বলে খবর চাউর হয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের খবর জানার পর শাহবাগে লোকজনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এর আগে, ডিআইজি হারুন অর রশিদ দিনভর আইজিপির সঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর পাওয়ার পর থেকে ওয়্যারলেসে তিনি কোনো নির্দেশনা দেননি।
ডিবির হারুন পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। তিনি পুলিশ সদর দপ্তরের পূর্ব পাশে থাকা সিটি করপোরেশনের সীমানা দেয়াল টপকে সেদিকে চলে যান। তবে, তার পরনে বাহিনীর পোশাক ছিল না বলে সূত্রে জানা গেছে।
আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, হারুন পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বের হয়ে সোজা চলে যান হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে। সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন ডিআইজি হারুনসহ ১০ জন ডিআইজি। কিন্তু তারা ব্যর্থ হন।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ৩১ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে বদলি করে ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগে নেওয়া হয়। মূলত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ডিবি অফিসে ৬ দিন হেফাজতে রাখা নিয়ে বেশ সমালোচনায় পড়েন তিনি।
এ নিয়ে ১৪ দলের সঙ্গে সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে একাধিক নেতা ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন হারুন অর রশিদের বিষয়ে। এরপর শেখ হাসিনাও বিষয়টি অবগত বলে জানান।
যে ১০ জন ডিআইজি গা ঢাকা দিয়েছেন তাদের মধ্যে, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এডিশনাল ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকার, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ও শেখ হেলালের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় শাহ্ আবিদ হোসেন, এসবি প্রধান মনিররুল ইসলাম / মোহাম্মদ আলী/প্রলয় কুমার জোরদ্দার/পিবিআই প্রধান বনজ কুমার ও মঈনুল হক।