ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ডিএস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে এলাকায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে এবং অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ বরছে।
জানা যায়, বিগত নভেম্বর ২০২৩ মাসে মাদ্রাসা পারিচালনা পরিষদ গঠনের জন্যে তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ২৫ নভেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও অভিভাবক প্রতিনিধি পদে অতিরিক্ত প্রার্থী না থাকায় তিনজনকে ২১ নভেম্বর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ও প্রিজাইডিং অফিসার আবু হানিফা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর শিক্ষক প্রতিনিধি ও অভিভাবক সদস্যদের সাথে সভা না করেই নিজ ইচ্ছা মাফিক কোন আলোচনা ছাড়া বিদ্যাৎসাহী সদস্য নির্বাচন করেন অধ্যক্ষ। পরে কমিটি অনুমোদনের জন্য মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ডিজি ও বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের কাছে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে ২৮ জানুয়ারি কমিটি অনুমোদন হয়ে ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হলে কমিটির সদস্য ও স্থানীয় অভিভাবকগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একাধিক শিক্ষক জানান, কমিটি অনুমোদনের পর থেকে অধ্যক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন >> ঘুষের টাকা ফেরতের দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জে মাদরাসা অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ
এবিষয়ে অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নিময় মেনেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিদ্যাৎসাহী সদস্য পদে মনোনয়নের ব্যাপারে শিক্ষক প্রতিনিধি ও অভিভাবক সদস্যদের সাথে আলোচনার কোন নিয়ম নেই। এটা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিজস্ব বিষয়। প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি অনুমোদিত কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। যে মিটিং করা হয়েছে তাতে ৮জন সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে তবে কারা স্বাক্ষর করেছেন তাদের নাম বলা যাবে না।
অভিভাবক প্রতিনিধি মো. সেলিম জানান, কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার বিষয়ে অধ্যক্ষ কোন মিটিং করেছে বলে আমার জানা নেই।
বর্তমান কমিটির সদস্য এড. একেএম আব্দুল মালেক জানান, আমার কাছ থেকে একবার খাতায় স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে তবে কোন মিটিং সম্পর্কে আমার জানা নেই। কমিটি গঠন সবার সাথে বসে আলোচনা করে করাই ভালো।
এব্যাপারে কমিটির সহ-সভাপতি পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার বলেন, কমিটির মিটিং কোন দিন হয়েছে তা আমার জানা নেই।
কমিটি গঠন ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অনুমোদিত কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহফুজুল আলম মাসুম জানান, অধ্যক্ষ আমাকে ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তবে আমার নিকট লিখিত কোন অভিযোগ দিয়েছেন কি না তা অফিসে যোগাযোগ করে বলতে হবে। অধ্যক্ষকে সকল সমস্যার সমাধান স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য বলা হয়েছে।