Durnitibarta.com
ঢাকামঙ্গলবার , ৩ অক্টোবর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঈশ্বরগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও রাজস্ব লোপাটের অভিযোগ

প্রতিবেদক
বার্তা বিভাগ
অক্টোবর ৩, ২০২৩ ৭:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিমের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন ও রাজস্ব খাতের টাকা লুটপাটের অভিযোগ করেছেন সাত ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পৃথক ২টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা হলেন, দুলাল মিয়া, আবুল বাশার, আকরাম হোসেন, শহিদ মিয়া, সাইফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও সংরক্ষিত নারী সদস্য তাসলিমা আক্তার।

অভিযোগে জানা যায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী সপ্তম ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। পরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথের তিন মাসের মধ্যে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠনের নিয়ম থাকলেও এ পর্যন্ত প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়নি।

তবে ৩০ আগস্ট মাসিক মিটিং এ প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে একাধিক প্রার্থী থাকায় ইউপি সচিবের মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ জানানো হবে বলে সদস্যদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়া হয়। পরবর্তীতে সদস্যগণ জানতে পারেন ৩০ আগস্টেই সদস্যদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে স্বাক্ষর নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে চেয়ারম্যানের সাথে একমত হতে পারেন না সদস্যগণ। বিশেষ করে ইউনিয়নের হাট বাজারের রাজস্ব, পরিষদের নিজস্ব রাজস্ব ও ১% এর টাকা কোথায় কোন খাতে ব্যয় করা হয় তা সদস্যগণ জানতে পারেন না। এবিষয়ে ইউপি সচিবের সাথে সদস্যরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি নিজেও কিছুই জানি না।

বিষয়টি নিয়ে মাসিক মিটিং এ চেয়ারম্যানের কাছে জানতে সদস্যরা চাইলে চেয়ারম্যান জানান, এসব বিষয় আপনাদের জানার অধিকার নেই। এতে ইউপি সদস্যদের ধারণা উক্ত রাজস্বের টাকা ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে চেয়ারম্যান লুটপাট করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান গঠনে পরিষদে মিটিং হয়েছে। ৬জন প্রার্থী থাকায় পরবর্তী ২দিনের মধ্যে ইউপি সচিবের কাছে জানানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা কেউ কোন কিছু জানায়নি। পরে জরুরী প্রয়োজনে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সবকিছু নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে। প্রকল্প যখন আসে তখন সদস্যদের মিটিং এ ডাকা হয় কিন্তু তারা মিটিং এ উপস্থিত হন না। আমাকে অপদস্ত করতেই এ ধরনের অভিযোগ দিয়েছেন কয়েকজন সদস্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তাঁদেরকে নিয়ে বসা হবে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।