বিশেষ প্রতিনিধি: সরকারি ঘর দেওয়ার নাম করে ১৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।অভিযোগটি উঠেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ৬নং মাইজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুল ইসলাম বাবুল (৪৩) এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমড়া শাসন গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ রাহেলা খাতুন (৬০) এর কাছ থেকে বাবুল চেয়ারম্যান প্রায় ১ বৎসর পূর্বে সরকারী ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ১৯ হাজার টাকা নেন। পরে ঘর না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকে ওই চেয়ারম্যান।
২৫জুন মাইজবাগ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে রাহেলাকে টাকা দিবে না বলে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে তাড়িয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী রাহেলার মেয়ে সেলিনা আক্তার বলেন, এই টাকার শোকে আমার বাবা মারা যান। আমার বাবা চেয়ারম্যানের কাছে দীর্ঘ দিন ঘোরাফেরা করেও টাকা উদ্ধার করতে পারেননি। বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ জানেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, টাকা দেয়ার বিষয়ে প্রথমে আমার জানাছিলনা। পরে বিষয়টি জেনে চেয়ারম্যান সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুল ইসলাম বাবুল বলেন, আমি কারো কাছে সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে কোনো টাকা নেইনি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন জানান, ঘর হচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার। এবিষয়ে যেহেতু টাকা নেয়ার অভিযোগ হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।