ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ঘুষের টাকা ফেরতের দাবিতে ঈশ্বরগঞ্জ ডিএস কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখে চাকুরী প্রত্যাশী জহিরুল ইসলাম ও এলাকাবাসী। জহিরুল উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের মৃত আতিকুর রহমান মানিকের ছেলে।
গতকাল সোমবার দুপুরে মাদরাসার অধ্যক্ষের কক্ষে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে টাকা ফেরত ও প্রতিকার চেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জহিরুল।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই মাদরাসার কর্মচারি জহিরুলের পিতা চাকুরীরত অবস্থায় ১২বছর পূর্বে মারা যায়। পরে মাদরাসার অস্থায়ী কর্মচারি হিসেবে যোগ দেন জহিরুল। চাকুরি স্থায়ীকরণে মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. শহীদুল্লাহ জহিরুলের কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। জহিরুল এলাকার কয়েকজনের উপস্থতিতে অধ্যক্ষকে ৩ লক্ষ ৭০হাজার টাকা দেন। চাকুরি স্থায়ী না হওয়ায় টাকা ফেরতের বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে কয়েকবার সালিশ দরবার হয়। কিন্তু অদ্যাবধি কোন টাকা ফেরত দেননি অধ্যক্ষ।
উল্লেখ্য, একই গ্রামের মাদরাসায় চাকুরি প্রত্যাশী মৃত নুর হোসেনের ছেলে মো. মুস্তাকিমের ১০লক্ষ টাকার মধ্যে চাকুরি স্থায়ী না হওয়ায় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে গত ৭মে/২৩ রবিবার ৩ লক্ষ টাকা ফেরত দেন অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ।
এর আগে ২০১৭সালের ১৫ নভেম্বর মাদরাসার আয়াকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এলাকাবাসী মাদরাসা ঘেরাও করলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছিল এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জহিরুল ইসলাম বলেন, হয় আমার চাকুরি স্থায়ী করণ করা হোক না হয় আমার টাকা ফেরত দেওয়া হোক।
ঈশ্বরগঞ্জ ডিএস কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. শহীদুল্লাহ বলেন, চাকুরি দেওয়া ও স্থায়ীকরণের বিনিময়ে আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে সে টাকাগুলো আমার কাছে মুস্তাকিম গচ্ছিত রেখেছিল। আর আজকের অবরুদ্ধ হওয়ার বিষয়টি মাদরাসার তহবিলে টাকা না থাকায় দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুল কাদের জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে জহিরুল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে অইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।