আবদুল কাদির :
দ্রুত ব্রহ্মপুত্র খননের জন্য ময়মনসিংহে নদে হাটু জলে নেমে, মূকাভিনয়, গান, কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে অভিনব প্রতিবাদ করেছে সচেতন মহল।
শুক্রবার (৫ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর কাচারীঘাট এলাকায় হাটু জলে নেমে অভিনব এই প্রতিবাদ করা হয়। অচিরেই ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার দাবী করেন তারা। প্রতিবাদে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন।
এক সময়ের খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্র নদ আজ মরতে বসেছে। যে নদে ছিল অবাধ নৌ চলাচল, জেলেদের জালে ধরা পড়তো প্রচুর মাছ,পানিতে টইটম্বুর থাকায় জীবনযাত্রায় ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও সবই হারিয়ে জানান দিচ্ছে ব্রহ্মপুত্রের দুর্দশার চিত্র।
আয়োজনের পুরোটা জুড়ে চলতে থাকে গান, কবিতা, নদে ঝাঁপাঝাঁপি, আহাজারী। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, সংস্কৃতিকর্মী, রাজনৈতিক নেতারাও সংহতি প্রকাশ করে হাঁটুজলে নেমে চিৎকার করে প্রতিবাদ করেন।
নদের মাঝে একটি চেয়ারের সামনে খাবার দিয়ে সাজানো টেবিলে সব ধরণের খাবার থাকলেও ছিল না শুধু পানি। ব্রহ্মপুত্রের চারিদিকে সবকিছু আছে,যেন পানির অভাবে সে ক্ষুধার্ত। নানা আর্তনাদ লেখা প্লে-কার্ড স্থান করা হয় নদে।
আয়োজনের উদ্যোক্তা শামীম আশরাফ বলেন, শিল্পের মানুষের চিন্তা নিয়ে সমন্বিত ভাবে মৃতের চিৎকার আয়োজন করা হয়েছে। এই চিৎকার অনেকের কাছে হয়তো পৌঁছবে না। কিন্তু কিছু মানুষ তবু আমরা দাঁড়াতে চাই প্রতিবাদে। এর আগেও আমরা নদ রক্ষায় কর্মসূচি পালন করেছি। এই নদটি যতদিন পর্যন্ত প্রাণ না ফিরে পাবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।
২০১৮ সালে ২ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২৭ কিলোমিটার ব্রহ্মপুত্র খনন কাজ শুরু হয়। খনন কাজ শুরু হলেও নদের বিভিন্ন স্থানে চর জেগে উঠায় খনন কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলে। ব্রহ্মপুত্র নদের করুণ অবস্থার জন্য প্রশাসনের উদাসীনতা এবং খনন কাজে গাফিলতিকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।#