বিশেষ প্রতিনিধি: আমতলীর সেকান্দার খালী গ্রামের আবু হানিফ নামের (৩৫) এক যুবককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি স্ত্রীর।
তবে স্বজনদের অভিযোগ, হত্যার উদ্দেশ্যে গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে তাকে। রোববার রাতে তার শ্বশুরবাড়ি দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের সেকান্দারখালী গ্রামের আবু হানিফের সঙ্গে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামের এক তরুণীর (২৫) ২০১৬ সালে বিয়ে হয়। হানিফের পরিবারের অভিযোগ, গৃহবধূ স্থানীয় ইউপি সদস্যের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। একপর্যায়ে গত ১ এপ্রিল আবু হানিফকে তালাকের নোটিশ পাঠান। বিষয়টি আবু হানিফ জানতেন না। রোববার রাতে তিনি শ্বশুরবাড়ি গেলে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াও মারপিটের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে চালের পোকা দমনের গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে অচেতন হয়ে পড়েন। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথেই মৃত্যু হয় তার। পরে তার স্ত্রী স্বামীর আত্মহত্যাচেষ্টার খবর জানিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন।
খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ স্বজনদের খবর দিলে তারা হাসপাতালে গিয়ে দেখেন হানিফ মারা গেছেন।
তার মামা মো. মোশারেফ হোসেন অভিযোগ করেন, স্ত্রী পরকীয়া করায় হানিফকে হত্যার জন্য জোরপূর্বক গ্যাসের ট্যাবলেট সেবনে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
একই কথা বলেন বোন হালিমা বেগম। তার দাবি, ভাইয়ের মৃত্যু হলে স্ত্রী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গৃহবধূ বলেন, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাকে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন। বাড়িতে আসতে নিষেধ করলেও তিনি রোববার রাতে গ্যাসের ট্যাবলেট সেবন করে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে যান বলে দাবি করেন তিনি।
আমতলী থানার ওসি তদন্ত রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠান। আবু হানিফের পটুয়াখালী হাসপাতালে মৃত্যু হলে সেখানেই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।