খাইরুল ইসলাম আল আমিন:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারের পুস্তক ব্যবসায়ী কবির লাইব্রেরীর সত্ত্বাধিকারী, ঈশ্বরগঞ্জ পুস্তক সমিতির সভাপতি কবির উদ্দিন নিখুঁজ হওয়ার ২১ ঘন্টা পরে অজ্ঞান অবস্থায় খুজেঁ পায় পরিবার। কেন নিখোঁজ ছিলো, কোথায় ছিলো, আত্মগোপন নাকি গুম কিছুই জানা যায়নি। তার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় কবির। কবির উদ্দিন (৪৫) ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের চরনিখলা গ্রামের মৃত শামছুদ্দিনের ছেলে। তার এমন রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এলাকায় চলছে নানান গুঞ্জন।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাতে কবির দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায়। পরে ১০ টার দিকে বের হয় তার পুকুরে মাছের খাবার দেয়ার জন্য। কিন্তু সেখান থেকে আর ফিরে আসেনি কবির। সারারাত খুজাঁখুজি করে না পেয়ে পরদিন পরিবারের পক্ষ থেকে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। পুকুরে জাল ফেলেও পায়নি কবিরের সন্ধান। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাড়ির পিছনে হঠাৎ একটি চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখতে পায় কবির পরে আছে। পরে তাকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপালে প্রেরণ করেন। পরে সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কবির মারা যায়। কবির এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
কবিরের ভাই তোফাজ্জল হোসাইন দুর্নীতি বার্তাকে জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে আমার ভাইকে খুজে পাচ্ছিলাম না। পরে শনিবার সন্ধ্যায় আমাদের বাড়ির পিছনে কলপাড়ে কে যেন একজন চিৎকার দিল, সেখানে গিয়ে কবির ভাইকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কারো সাথে কোন কথা বলতে পারেনি, কোথায় ছিলো, কি হয়েছিলো কিছু বলতে পারেনি তিনি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ মুস্তাছিনুর রহমান দুর্নীতি বার্তাকে জানান, নিখোঁজ হওয়ার পরে একটি ডায়েরী করা হয়েছিলো। খুঁজে পাওয়ার বিষয়টিও আমাদের অবগত করা হয়। মারা যাওয়ার পরে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে লাশের সুরতহালে কোন আঘাতের চিহ্ন পায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে কোন অভিযোগ নেই। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে কবির উদ্দিনের মৃত্যুতে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি গভির শোক প্রকাশ করে ও আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ অক্টোরব) সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১ঘটিকা পর্যন্ত সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষনা করেন।