নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নে সাবেক স্ত্রীর (২২) অর্ধনগ্ন ও আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ওসমান গনি (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার যুবক ওই নারীর স্বামী। সম্প্রতি তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে সেনবাগের ফকিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ওসমান গনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ওসমান গনি পাশের কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাড় ইউনিয়নের কেকৈয়া মুন্সি বাড়ির নাজির আহম্মেদের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ বছর আগে সেনবাগের কাদরা ইউনিয়নে বিয়ে করেন ওসমান গনি। বিয়ের পর থেকে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওসমান তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। একপর্যায়ে চলতি বছরের গত ২১ জুলাই বাবার বাড়িতে এসে ওসমান গনিকে তালাকনামা পাঠায় তার স্ত্রী। তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে মোবাইল ফোনে ও বিভিন্ন মাধ্যমে স্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয় দেখায় ওসমান। বিষয়টি ওসমানের মা এবং ভাইকে একাধিকবার জানালেও তারা এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং ওসমান তার ওপর আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয় এবং তার স্ত্রীর নামে ফেসবুকে একটি ভূয়া আইডি খুলে সেখানে স্ত্রীর অর্ধনগ্ন ও আপত্তিকর ছবি পোস্ট করতে থাকে। বিষয়টি চাপা দেওয়ার জন্য সে ভুক্তভোগীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং দাবিকৃত টাকা না পেয়ে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে ও এসব ছবি পাঠাতে থাকে ওসমান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শনিবার দুপুরে সেনবাগ থানায় ওসমান গনি, ওসমানের বড় ভাই আলাউদ্দিন ও মা ছালেহা বেগমকে আসামি করে একটি অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওসমানকে গ্রেপ্তার করে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওসমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার মোবাইল জব্দ করার পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।