খাইরুল ইসলাম আল আমিন:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগীতা পুরস্কার বিতরণী শেষে পরাজিত দল ও তাদের সমর্থকরা বিজয়ীদলের খেলোয়ারদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিজয়ী দলের খেলোয়ারসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ প্রহরায় বিজয়ী দলের খেলোয়ারদের গন্তব্যস্থল মধুপুর স্কুলে পাঠানো হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে ঈশ্বরগঞ্জ শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামে ।
জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা সমিতি কর্তৃক ৪৯ তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় প্রথমে বালিকা দল চরনিখলা উচ্চ বিদ্যালয় সোহাগী উচ্চ বিদ্যালয়কে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। পরে বালক দল মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয় চরনিখলা উচ্চ বিদ্যালয়কে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। পুরস্কার বিতরণী শেষে বিজয়ী দলের উপর হামলা চালায় পরাজিত দল ও সমর্থকরা।
এসময় বিজয়ী দলের খেলোয়াররা অত্মরক্ষার্থে মঞ্চে আশ্রয় নেয়। কিন্তু সেখানেও রক্ষা পায়নি তারা, ইট পাটকেল ও কিল ঘুষিতে আহত হয় সাইফুল, লাবিব, শাহীন, এনামুল, রাতুল, হাসিম, সালামসহ ১০ জন। পরে তারা দ্রত মাঠ ছেড়ে পালিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করে। সেখানেও হামলা করতে চাইলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমিন ও ভাইস চেয়ারম্যান এ.কে.এম ফরিদুল্লাহ এর সহায়তায় পুলিশ উত্তেজিতদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে, খেলোয়ারদের পুলিশ প্রহরায় মধুপুর পৌঁছে দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমিন বলেন, শান্তিপুর্নভাবে খেলা শেষে চরনিখলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে আক্রমন করায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাদেরকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম জানান, এধরনের খেলায় উপজেলা সদরের বাহিরের স্কুলগুলো অংশগ্রহন না করাই শ্রেয়।
এ ব্যাপারে টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গির হোসেন জানান, এ ঘটনাটি অত্যান্ত নেক্কারজনক, কমিটির আলোচনা স্বাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।