Durnitibarta.com
ঢাকারবিবার , ২৪ এপ্রিল ২০২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঈশ্বরগঞ্জে যত্রতত্র গো-হাট, লোকসানের মুখে সরকারি ইজারা

প্রতিবেদক
বার্তা বিভাগ
এপ্রিল ২৪, ২০২২ ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ইজারাবিহীন গো-হাটা ও ঈদ উপলক্ষে মৌসুমি গো-হাট গুলোর কারণে লোকসানের মুখে পড়েছে সরকারিভাবে ইজারা নেয়া বিভিন্ন হাট বাজারের ইজারাদাররা। এতে সরকারের কোটি টাকা রাজস্ব হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার বলার পরেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা তারা । এ কারণে সরকারি ইজারাদারদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, বাংলা ১৪২৯ সালের জন্য ইজারা নিমিত্তে ৪১টি তহবাজার ও ১৪টি গো-হাটা টেন্ডার দেয়া হয়। তালিকা ভুক্ত বাজার গুলোর মধ্যে রাজিবপুর চরপাড়া গো-হাটা ইজারা না নেওয়ায় খাস কালেকশন করা হচ্ছে।

ইজারা না নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিজ ইচ্ছামাফিক উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে, ইউপি মাঠে ইজারা বিহীন গো-হাট বসিয়ে প্রকৃত ইজারাদারদের মোটা অংকের লোকসানের মুখে ফেলেছে। তেমনি সরকারের তালিকায় ডাকে বাজার না নিয়ে সরকারকে কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্ছিত করছে। এরকম কয়েকটি হাটের মধ্যে রয়েছে ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ মাঠের গো-হাট, রাজিবপুর ইউনিয়নের চরপাড়া বাজারের গো-হাটসহ ঈদ সামনে রেখে মৌসুমি গো-হাট বসেছে প্রায় ১৩/১৪টি।

ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজার গো-হাটের চলতি বাংলা সনের ইজারা ডাক হয়েছে ৬২ লাখ টাকা। কিন্তু মাত্র আধা কিলোমিটার দুরত্বে ইউপি মাঠে ইজারা বিহীন আরো একটি গো-হাট বসানোয় চরম লোকসানে পড়েছে পৌর বাজারের ইজারাদার।

মাইজবাগ ইউনিয়নের লক্ষীগঞ্জ বাজারের ইজারা হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ টাকা তার পাশাপাশি ৩-৫ কিলো মিটারের মধ্যে ইজারা বিহিন চারপাড়া, বড়হিতের নশতি বাজারে গো-হাট বসেছে।

এ সকল ইজারা বিহীন বাজারগুলো জমায়েতের জন্যে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন বাজারে মাইকিং করা হচ্ছে নিয়মিত। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ইজারাদাররা প্রশাসনের স্বরণাপন্ন হলে ইউএনও অফিসের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে থানা প্রশাসনকে ১৯২ নং স্মারকে অবৈধ বাজার অপসারণসহ আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে ব্যবস্থা গ্রহণে লিখিত আদেশ প্রদান করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা।

এ নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পৌর সদরের বাজারে অতিরিক্ত টোল আদায় ও হয়রানী করায় এবং ইউনিয়নে কোন বাজার না থাকায় সাধারণ লোকজন ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন খাস জমিতে বাজার জমিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদের মিয়া জানান, পুলিশ উপস্থিত ছিলো অপসারণ করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকা আবশ্যক। ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় বাজার অপসারণের কাজ করা সম্ভব হয়নি।

যত্রতত্র গো-হাটা স্থাপন নিয়ে ইউএনও হাফিজা জেসমিনের সাথে কথা বলতে সরকারি নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে খুদে বার্তা প্রদান করেন।

ঈশ্বরগঞ্জ পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কেউ কোন নিতি মানতে চায় না, গাঁয়ের জোড়ে সব করতে চায়। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে অনিয়ম কারীরা উৎসাহিত হয়ে সমাজে অপরাধ করতেই থাকবে।