খাইরুল ইসলাম আল আমিন:
মাদ্রাসা’র সহ-সুপার পদে নিয়োগদানের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ২০১৭ সালের কিন্তু ২০২২ সালেও হয়নি এর তদন্ত। এ ব্যাপারে পাঁচ বছরপূর্বে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
এ অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার চূড়ালী ইসহাক উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসায়।
অভিযোগে প্রকাশ, মোঃ আঃ সাত্তার ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ড. আব্দুল্লাহ উমর নাসিফ দাখিল মাদ্রাসায় (কাগচর) ইবতেদায়ী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন (ইনডেক্সনং-ইবি-৩৪৩১১৪)।
এরপর ২০১১ সনে সম্পূর্ণ বিধি-বহির্ভূতভাবে তাকে একই জেলার গৌরীপুর উপজেলার চূড়ালী ইসহাক উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসায় সহ-সুপার হিসেবে নিয়োগদান করেন সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কমিটি (ইনডেক্স নং-এ এসইউপি এন২১০৩৫৬৫)।
এক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক একজন ইবতেদায়ী শিক্ষক কখনও মাদ্রাসার সহ-সুপার হিসেবে যোগদান করতে পারে না।
জানা গেছে, এ অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের স্থানীয় মোঃ আবাল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ২০১৭ সনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে লিখিত আদেশ দেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এ আদেশে ২০১৭ সনের ৬ আগস্ট তৎকালীন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল আলম উল্লেখিত মাদ্রাসার সহ-সুপার আব্দুস সাত্তারকে চারদিনের মধ্যে মাদ্রাসার নিয়োগ পত্র, যোগদান পত্র, এমপিও কপি, পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি এবং প্রতিষ্ঠান হতে প্রদানকৃত ছাড়পত্র এবং বর্তমান মাদ্রাসার সহ সুপার পদে নিয়োগ পত্র, যোগদান পত্র, পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি, কমিটির নিয়োগ সংক্রান্ত রেজুলেশন ও এমপিও কপিসহ কাগজপত্র উপস্থাপন করার জন্য লিখিত চিঠি দেন।
কিন্তু অজ্ঞাত কারনে অদ্যবধি পর্যন্ত মোঃ আঃ সাত্তার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে চাকুরির প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র উপস্থাপন করেননি। এক্ষেত্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে রহস্যজনক কারনে নিরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে চূড়ালী ইসহাক উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার মোঃ আঃ সাত্তার’র কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে, তিনি দুর্নীতি বার্তাকে জানান আমার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পুর্ন সঠিক ভাবেই হয়েছে। আমি কয়েকদিন আগে আমার সম্পুর্ন কাগজপত্র উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৎকালীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল আলম দুর্নীতি বার্তাকে বলেন, উনার কাছে কাগজপত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিলো কিন্তু তিনি সময় চেয়েছিলেন। এখন কোন অবস্থায় রয়েছে তা আমি বলতে পারবো না।
সদ্য যোগদানকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আশরাফুল ইসলাম দুর্নীতি বার্তাকে জানান, অভিযোগের বিষয়ে উল্লেখিত মাদ্রাসার সহ-সুপার মোঃ আঃ সাত্তার’র কাগজপত্র অফিস ফাইলে কদিন আগেই জমা হয়েছে। অতি শিঘ্রই বিষয়টি তদন্ত করা হবে।