Durnitibarta.com
ঢাকামঙ্গলবার , ২৪ মে ২০২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি-সম্পাদককে হত্যার হুমকি

প্রতিবেদক
Admin
মে ২৪, ২০২২ ৭:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি রবিন সেন ও সাধারণ সম্পদক জাভেদ হোসেনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে খাইরুল ইসলাম ও আতাউর রহমানসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি লিখিত আভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার দুপুরে জাভেদ হোসেনসহ কয়েকজন সাংবাদিককে গাইবান্ধা প্রেসক্লাব (কাচারী বাজার) চত্বরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে আক্রমণ করে এবং হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে একইদিন রাতেই প্রেসক্লাব গাইবান্ধা (গোরস্থান মোড়) কার্যালয়ে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচনা শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

 

এজাহার সূত্রে জানা যায়,  প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হোসেনকে গত ২১মে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে (কাচারী বাজার) একটি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে ডাকেন ওই প্রেসক্লাবের সদস্য খাইরুল ইসলাম। পরে ওই দিন দুপুর ২টার দিকে জাভেদ হোসেন ও রবিন সেনসহ প্রেসক্লাব গাইবান্ধার কয়েকজন সাংবাদিক কাচারি বাজারের প্রেসক্লাবে উপস্থিত হন। সংবাদ সম্মেলন শেষ হলে ওই সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে খাইরুল ইসলাম, দীপক কুমার পাল ও কেএম রেজাউল হকের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং জাভেদ-রবিনসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা ওখান থেকে চলে আসে।

পরবর্তীতে ২৩ মে (দুইদিন পর) জাভেদ হোসেন ও রবিন সেনসহ আরো ২/৩ জন সাংবাদিক গাইবান্ধা কাচারী বাজার সংলগ্ন সবুজের চায়ের দোকানে চা খাইতে গেলে খাইরুল ইসলাম ও আতাউর রহমান তাদেরকে হুমকি দিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করতে বলেন। একই সাথে এখুনি (ওই সময়) ওই স্থান থেকে না গেলে জাভেদ হোসেন ও রবিন সেনকে তারা জানে মারবে বলে হুমকি দেন। এসময় বিষয়টি সাংবাদিক রজতকান্তি বর্মণকে অবহিত করে এবং ওই স্থান ত্যাগ করে। পরে প্রেসক্লাব গাইবান্ধার জরুরী সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হোসেন।

অভিযোগ দায়েরর বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মাসুদার রহমান বলেন, সভাপতি-সম্পাদককে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।