খাইরুল ইসলাম আল আমিন: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুতের এক লক্ষ গ্রাহক বিদ্যুৎ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত তার ৮টার দিকে বয়ে যাওয়া ঝড়ো হওয়ায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ২৪ ঘন্টা পেড়িয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মানুষ বিদ্যুতের আলো দেখতে পায়নি। এই ঝড়ে বাড়ি ঘরের তেমন কোন ক্ষয় ক্ষতি না হলেও শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বড়হিত, মাইজবাগ, তারুন্দিয়া, আঠারোবাড়ি, সোহাগী ও পৌর এলাকায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় খাবার পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নারীর টানে বাড়ি ফেরা মানুষজন বিদ্যুতের জন্য অটো রিক্সা না পেয়ে নারী, শিশু বাচ্চা ও বায়ো বৃদ্ধ লোকজন পায়ে হেঁটে বাড়ি যেতে হচ্ছে। রাস্তায় কিছু অটো রিক্সা থাকলেও সেগুলো ৫টাকার ভাড়া ২০টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে ভাড়া বিড়ম্বনায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী সাধারণ।
এব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম অনিতা বর্মনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঝড়ে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় মাঠ পর্যায়ে কর্মচারীরা কাজ করছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সররাহের চেষ্টা চলছে।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ ঈশ্বরগঞ্জ এলাকা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম, জিএমকে একাধীকবার জানিয়েছি।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর জেনারেল ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, ঝড়ে বিধ্বস্ত লাইন মেরামত করতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মাঠে কাজ করা হচ্ছে। দ্রুতই বিদ্যুৎ চালুর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ হাফিজা জেসমিন জানান, গতকাল রাত থেকেই পল্লী বিদ্যুৎ না থাকায় এ উপজেলায় মানুষ বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে পড়েছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি জরুরী ভাবে দেখছেন বলে তিনি জানান।
ময়মনসিংহ-৮ ঈশ্বরগঞ্জ জাতীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।
এ ব্যপারে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজার রহমান জানান, বিষয়টি আমি দেখছি।