বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার পুলিশের এক এসআই’র সাথে প্রেমঘটিত বিষয়ের জেরে একই থানার নারী পুলিশ কনস্টেবল হালিমা খাতুন (২৫) নিজ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে থানা ব্যারাকে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেয়ার পর সেখান থেকে ঢাকা যাবার পথে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই মিজানকে পুলিশি নজরদারিতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। মৃত হালিমা আক্তার গৌরুয়াকান্দা গ্রামের পূর্বধলা উপজেলার নেত্রকোনা জেলার মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিনের মেয়ে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের দাবি, নারী পুলিশ সদস্য হালিমার সাথে থানার এসআই মিজানের সাথে সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এবং তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার শারীরিক সর্ম্পকও সৃষ্টি হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবৎ প্রেমিক মিজান হালিমার সাথে নানাভাবে প্রতারণা শুরু করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়েই ওই নারী পুলিশ সদস্য গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে।
গৌরীপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুর আড়াইটার দিকে থানা ব্যারাকের একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিজ শরীরে কেরাসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় হালিমা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢামেকে প্রেরণ করলে ময়মনসিংহের ভালুকায় তার অবস্থার আরো অবনতি হয়। পরে তাকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মমেক হাসপাতালে হালিমা খাতুন জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের সাথে কথা বলেন। জানতে চাইলে এসপি বলেন, দগ্ধ হালিমার কথা অস্পষ্ট ছিল। তবে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সত্য। তিনি বলেন, অভিযুক্ত এসআই মিজান আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থ্যা নেয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম নেওয়াজী (উত্তর) জানান, এক পুলিশ সদস্যের প্রেমে প্রতারণার শিকার হয়ে হালিমা নিজ শরীরে আগুন দেয় বলে শুনেছি।
গৌরীপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত এসআই মিজান বিবাহিত। এবং তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।