ইয়াসির আরাফাত(নেত্রকোনা):-
টানা বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে হাইজদ্যা ফসল রক্ষা বেরী বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে ইরি-বোরো ফসল। ভেঙ্গে গেছে নেত্রকোনার হাজারো কৃষকের স্বপ্ন। এতে হুমকির মুখে আরও অনেক ছোট-বড় হাওর। একমাত্র ফসল নষ্ট হওয়ায় অসহায় হাওরাঞ্চলের কৃষকরা। স্থায়ী বেরী বাঁধ নির্মানের দাবী কৃষকদের।
শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নেত্রকোনা জেলা। এখানে ছোট বড় অনেক হাওর রয়েছে। আর সেখানে রয়েছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্নের কাল হয়েছে অসময়ের টানা বর্ষন ও পাহাড়ী ঢল। সেই ঢলে রবিবার মোহনগঞ্জ উপজেলার হাইজদ্যা বেরী বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরীসহ বিভিন্ন উপজেলার ইরি-বোরো ফসল।
এক মুহুর্তে শেষ গেছে তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র বোরো ফসল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ডিংগাপুতা, মান্দাউড়াসহ নতুন করে তলিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন হাওড়ের ফসলী জমি। একমাত্র বোরো ফসল হারিয়ে দিশেহারা কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে বেরি বাঁধে নিম্নমানের কাজ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লষ্টিদের নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন তারা।
অনেকেই ক্ষোভের সাথে বলেছেন প্রতিবছর সরকারীভাবে বাঁধ সংস্কারের জন্য আসা বরাদ্দ কাজ না করেই স্থানীয় নেতাকর্মীরা আত্মসাৎ করে নেয়। তাই এই রকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারন জনগণের। স্থায়ী বাঁধ নির্মান করা না হলে প্রতিবছরই এই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে জানায় কৃষকরা।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু তাহের জানায়, অনাকাংখিত ও অসময়ে আকস্মিকভাবে টানা বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে পানির প্রচন্ড চাপে হাওড়ে পানি প্রবেশ করে ফসলের ক্ষতি করেছে। তবে বাঁধ সংস্কারে পানি উন্নয়ন্ন বোর্ডের কোন গাফিলতি নেই। পরবর্তীতে হাওরের ফসল রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মান করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে নেত্রকোনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, বেরী ভেঙ্গে জেলার বিভিন্ন হাওড়ে পানি প্রবেশ করে কৃষকের ফসলের ক্ষতি করেছে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে ৩টি উপজেলায় ১ লাখ টাকা ও ১১ মেঃ টন জিয়ার চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
হাওড় এলাকায় স্থায়ীভাবে বেরী বাঁধ নির্মান করলে বাঁচবে কৃষক, বাঁচবে দেশ, এমনটিই মনে মনে করেন নেত্রকোনাবাসী।