মিন্টু মিয়া, নান্দাইল(ময়মনসিংহ) ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ইজারা ছাড়া চারটি বড় বাজার কালেকসান করা হচ্ছে ফলে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু তাই নয় উপজেলা রাজস্ব ফান্ডও আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যার ফলে উপজেলা রাজস্ব ফান্ডের উন্নয়ন স্থবির হয়ে পড়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বৃহত্তম চারটি বাজার হলো গাংগাইল ইউনিয়নের নান্দাইল রোড বাজার,নান্দাইল ইউনিয়নের ঝালুয়া বাজার, চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বাশহাটি গরুর বাজর, শেরপুর ইউনিয়নের পাচরুখী বাজার। বাশহাটি বাজারটি গত এক মাস আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে বাজারটি দখলমুক্ত করেন এবং সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গত কয়েক বছর ধরে বাজারটি স্থানীয় একটি চক্র হরিলুঠ করে আসছিল।বর্তমান বাজারটি খাস কালেকসান করা হচ্ছে।অপরদিকে আরেক বৃহত্তর গরুর হাট নান্দাইল রোড বাজার, বিগত চার বছর ধরে বাজারটি কোনো ইজারা ডাক হয় না। ওই বাজারটি সর্বশেষ সরকারি ডাক হয়েছিল ২৬ লক্ষ টাকা। ঝালুয়া বাজার এটিও একটি গরুর বাজার ডাকবিহীন চলছে।পাচরুখী বাজারটিও ডাকবিহীন অবস্থায় খাস কালেকসান চলছে। তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, স্থানীয় একটি সুবিধাবাদী চক্র ডাকের সময় বাজারগুলো ডাকতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করার কারনে বাজারগুলো ডাক হয় না।স্থানীয় চক্রটিই ইজারাবিহীন বাজারগুলো থেকে সুবিধা নিচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ এরশাদ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি বাজার ডাকের পরে নান্দাইল উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছি। পুর্বেকাররা কি অবস্থায় বাজার রেখে গেছেন, তা আমার জানা নেই।তবে আগামী বাংলা সনে বাজারগুলো ডাকের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালাবো।
এলাকার সচেতন মহলের বাজারগুলো ডাকের ব্যবস্থা করে হরিলুঠ বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।