নিজস্ব প্রতিবেদক,
সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশকে ক্যানোলা তেল কেনার প্রস্তাব দিয়েছে কানাডা। অন্যদিকে কানাডার এই তেলটি দেশে জনপ্রিয় হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে বুধবার দুপুরে এক মতবিনিময় সভায় ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস ক্যানোলা তেল বিক্রির প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্যানোলা ভোজ্যতেল উৎপাদন কারখানা স্থাপনের জন্য কানাডার প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ সময়ে কানাডায় ১০৭ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ কানাডা থেকে আমদানি করেছে প্রায় ৪৩ কোটি ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশ প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি করে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, কানাডায় উৎপাদিত ভোজ্যতেল ক্যানোলাও এখানে জনপ্রিয় হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে ক্যানোলা তেল উৎপাদন করে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশেও রপ্তানি করা যাবে।
কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির যে সুযোগ রয়েছে, সেটাকে বাংলাদেশ কাজে লাগাতে চায়।’ এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা রাখার বিষয়টি তুলে ধরে কানাডাকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ—টিসিবির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারি পর্যায়ে তার দেশ থেকে ক্যানোলা তেল আমদানি করতে পারে বলে জানান কানাডার হাই কমিশনার ড. লিলি নিকোলস।
হাইকমিশনার ড. লিলি বলেন, কানাডার ক্যানোলা ভোজ্যতেল বাংলাদেশে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে তার সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের প্রশংসা করে কানাডার দূত আরও বলেন, কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পারিক দেশ সফর করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারে।