অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সিলেট বিভাগে আকষ্মিক বন্যায় ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হিমাংশু লাল রায়।
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত বন্যায় সিলেট বিভাগে ২২ জনের মৃত্যুর তথ্য আমরা পেয়েছি। এর মধ্যে সিলেটে ১৪ জন, মৌলভীবাজারে ৩ জন ও সুনামগঞ্জে ৬ জন।’
তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহতদের মধ্যে ২৩ জনের খবর জানতে পেরেছি। এর মধ্যে সিলেটে টিলাধসে একজন, বন্যার পানিতে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে স্পৃষ্ট হয়ে ২ জন, টিলাধসে একজন এবং নৌকাডুবিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলায় বজ্রপাতে ৩ জন ও বন্যার পানিতে ডুবে ৩ জন এবং মৌলভীবাজারে সাপের কামড়ে এক কিশোর, টিলাধসে একজন এবং বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশেষ সিলেটের জৈন্তাপুরে বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জুন) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ছাতারখাই গ্রামের হাওর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- উপজেলার মহালীখলা গ্রামের আজব আলীর স্ত্রী নজমুন নেছা (৫০) ও তার ছেলে রহমান মিয়া (১৪)। আর সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বিমানবাহিনী হেলিকপ্টার থেকে ফেলা ত্রাণসামগ্রী আনতে গিয়ে আহত হন ৬ জন। তাদের মধ্যে বিপ্লব মিয়া (৫০) নামের একজন মঙ্গলবার সকালে মারা যান। তিনি পিঠ এবং ঘাড়ে মারাত্মক আঘাত পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান কবির।।
এছাড়া পানিতে ভেসে যাওয়া একজন এখনও নিখোঁজ আছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত আজমেরী হক।
ভয়াবহ বন্যায় সিলেট জেলায় ৮০ শতাংশ ও সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা তলিয়ে যায়। এতে বিভাগের প্রায় অর্ধকোটি লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েন। বন্যায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।