নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার স্টেশন রোডের পিছন দিয়ে প্রবাহিত প্রাচীন খালটি দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীরা। বিগত কয়েক বছরে উক্ত খালের ওপর মাটি ভরাট করে নিমার্ণ করা হয়েছে অর্ধশত ঘরবাড়ি।
অভিযোগ ওঠেছে ঘরবাড়ি উত্তোলনের উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে খালের একটি স্থানে সম্পূর্ণ মাটি ভরাট করে পানি প্রবাহের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়ে হয়েছে। এতে বেশ কয়েকদিনের মুষলধারে বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ১শ হেক্টর জমির বোর ধান সহ মৎস্য চাষীদের পুকুরগুলো তলিয়ে যাওয়ার অবস্থায় রয়েছে।
এঘটনায় স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভোক্তভোগী কৃষকরা বলেন ওই এলাকার পশ্চিম ভালুকা, মধ্য ভালুকা, বেকারকান্দা, চকপাড়া, শালিহর সহ অন্যান্য গ্রামের পানি প্রবাহিত হয় এই খালের মধ্য দিয়ে। প্রাচীনকাল থেকে স্থানীয় মানুষের কাছে খালটি বাল্কি খাল হিসেবে পরিচিত। প্রায় ৫০/৭০ হাত প্রসস্থ এই খাল দিয়ে একসময় নৌকার মাধ্যমে মানুষ পণ্য আমদানী-রপ্তানী করত।
কিন্তু কালের বিবর্তনে পৌর শহরের রেলস্টেশন এলাকা থেকে ভালুকা ব্রীজ পর্যন্ত খালের উপর বাড়ি-ঘর উত্তোলণ করায় ও ময়লা-আর্বজনা ফেলায় এটি একটি ছোট্র ট্রেনে পরিণত হয়েছে। এতে ১০/১৫ বছর ধরে উল্লেখিত এলাকায় প্রতি বছর বর্ষাকালে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি বোর ফসল বিনষ্ট সহ মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পশ্চিম ভালুকার কৃষক ফিরোজ আহাম্মেদ, শাহজাহান মিয়া, রাকিব সহ আরো অনেকেই বলেন ইতোমধ্যে এই খালটির পানি প্রবাহের রাস্তা সম্পূর্ণভাবে মাটি ভরাট করে বন্ধ করায় স্থানীয় মানুষের মাঝে বন্যা আতংক বিরাজ করছে। বর্তমানে যেভাবে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে এতে বোর ফসল ডুবো ডুবো অবস্থায় রয়েছে। এরকম বৃষ্টি হতে থাকলে ওই এলাকার কৃষকদের বোর ধান পানিতে তলিয়ে গিয়ে বিনষ্ট হয়ে যাবে। উল্লেখিত সমস্যা সমাধানে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এবিষয়ে গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন জনসাধারণের স্বার্থে উল্লেখিত খালটি অবৈধ দখলদারমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।