ফারুক মিয়া (জামালপুর) দেওয়ানগঞ্জ:
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন্নাহার শেফা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিবাহিত এক কিশোরীকে সংশোধনাগারে পাঠিয়েছেন। বাল্য বিয়ে করার অপরাধে ওই কিশোরীকে এক মাসের জন্য সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার শেফা। ওই বাল্য বিয়ের কাজে সহায়তা করার দায়ে বিবাহিত কিশোরীর মা কেও ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন মোবাইল কোর্ট। একই মোবাইল কোর্ট অপর একটি বাল্য বিয়ে পন্ড করে দিয়েছেন।
জানা যায়, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন্নাহার শেফা খরমা পূর্বপাড়া গ্রামের এক কিশোরীর বাল্য বিয়ের খবর পান। ২৫ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের আয়োজন দেখতে পান। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বাল্য বিয়ে করার অপরাধে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর মোতাবেক ওই বিবাহিত কিশোরীকে ১ মাসের জন্য সংশোধনাগারে রাখার নির্দেশ দেন। নির্দেশ অনুযায়ী ওই বিবাহিত কিশোরীকে সংশোধনাগারে পাঠায় পুলিশ। বাল্য বিয়ের কাজে সহায়তা করার কারণে ওই বিবাহিত কিশোরীর মাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন একই মোবাইল কোর্ট। অপর দিকে একই গ্রামে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে আরও একটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন্নাহার শেফা। পরিবারের পক্ষ্য থেকে মুচলিকা দিয়ে বাল্য বিয়ের শাস্তি থেকে রক্ষা পায়।
এব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার এনামুল হক খন্দকার জানান, গোপনে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর কর্মকর্তা নুরে ফাতেমা জানান, একটি ভুয়া কাবিন নামা প্রদর্শণ করে ওই কিশোরী বিয়ে প্রমানের চেষ্টা করেছে। তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন্নাহার শেফা ওই কিশোরীকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল চন্দ্র ধর সাংবাদিকদের জানান, মোবাইল কোর্টের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কিশোরীকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন্নাহার শেফা সাংবাদিকদের জানান, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে সরকার কঠোর। তাই প্রশাসনও বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে যথেষ্ট তৎপর। জনগণকে সচেতন ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করা হচ্ছে।