স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ঈদের দিন আব্দুল খালেক (৬৫)কে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই এর ঘটনার রহস্য উন্মোচন-পূর্বক ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার সাথে জড়িত জনকে গ্রেফতার সহ ছিনতাই কৃত অটোরিকশা উদ্ধার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪।
শুক্রবার (৩০ জুন/২৩)সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ২৯ জৃুন দিবাগত রাত আনুমানিক ১ টার দিকে সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে র্যাব-১৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল জেলার তারাকান্দা থানার জয় বাংলা বাজারের আলম খাঁ মোড় এলাকা থেকে থেকে তাদের গ্রেফতার সহ তাদের হেফাজত হতে ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধার করে।
গ্রেফতারা হলেন জেলার তারাকান্দা থানার বিসকা কাকনীকোনা গ্রামের মোঃ আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম রতন(২৪)এবং একই জেলার কোতোয়ালী থানার চর আনন্দিপুর গ্রামের মোঃ ইউসুব আলীর ছেলে মোঃ সুমন মিয়া(২৩)।
নিহত আব্দুল খালেক ময়মনসিংহ নগরীর চাইনামোড় এলাকার মৃত আব্দুল কাদির'র ছেলে। তিনি তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের চর ফরিদপুর গ্রামে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন।
সংবাদ সম্মেলনে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান,আব্দুল খালেক ও শহিদুল ইসলাম রতন পূর্বপরিচিত ছিলেন।
তাই শহিদুল ইসলাম রতন প্রায়ই আব্দুল খালেকের অটোরিকশায় তার বাড়িতে যাতায়াত করত। রতন ও সুমন মিয়া ঋণগ্রস্থ হওয়ায় তারা অটোরিকশাটি ছিনতাই করে তাদের ঋণ পরিশোধ করার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক রতন ঘটনার দিন গত (বুধবার) বিকেলে আব্দুল খালেক'র অটোরিকশা রিজার্ভ ভাড়া করে সদরের শম্ভগঞ্জ ব্রিজ এলাকা থেকে জয়বাংলা বাজারে যায় এবং সুমন মিয়াকে ফোন করে ডেকে নেয়।
ওই বাজার থেকেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করার জন্য রশি কিনে নেয় তারা। পরিকল্পনা মোতাবেক রতন পথিমধ্যে কয়েক পুরিয়া গাঁজা কেনে এবং আব্দুল খালেককে সেবন করতে প্রলুব্ধ করে। অটোরিকাশাচালক আব্দুল খালেক গাঁজা সেবন করে নেশাগ্রস্থ হয়ে কিছুটা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় রতন তাকে অটোরিকশার পিছনে বসায় এবং সুমন অটোরিকশাটি চালিয়ে তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামে নিয়ে গিয়ে আব্দুল খালেককে প্রথমে তারা হাত দিয়ে গলা টিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। কিন্তু মৃত্যু না হওয়ায় ওই রশি গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় উপর্যুপরি কয়েকবার কিল-ঘুষি মারে। এরপর সুযোগ বুঝে আব্দুল খালেকের মরদেহ রাস্তার পাশের ডোবায় ফেলে দিয়ে অটোরিকশাটি নিয়ে চলে যায়।
পরদিন সকালে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোঃসোহাগ বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে।
র্যাব কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম বলেন,ঘটনাটি জানতে পেরে ছায়া-তদন্ত শুরু করে র্যাব। পরে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করে ওই দুইজনকে গ্রেফতার করে অটো-রিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জেলার তারাকান্দা থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান।
প্রকাশকঃ খাইরুল ইসলাম আল আমিন, প্রধান সম্পাদকঃ আবুল খায়ের, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৯৫ পাটবাজার (পুকুরপাড়), ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভা, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ , ওয়েবসাইট-www.durnitibarta.com, মোবাইলঃ 01710-492468, ইমেইল- [email protected]