বিশেষ প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ।। ময়মনসিংহের গৌরপুরে আবাসন এলাকার বাসিন্দাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া কমিউনিটি সেন্টার নির্মান না করেই প্রায় ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ। নির্মান কাজের মেয়াদ ৩ বছর পূর্বে উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও ব্যায় না হওয়া টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি এখনও। টাকা কোথায় আছে তার কোন হদিস জানেননা উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে উপজেলার ভাংনামারি ইউনিয়নের উজান কাশিয়ারচর আবাসন এলাকার বাসিন্দাদের জন্য একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মানে ৯ লক্ষ, ৮০ হাজার, ১ শত ১৩ টাকা বরাদ্দ করা হয়। যা ৩০ জুন ২০২০ তারিখের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ করার নির্দেশনা থাকে। এও নিদের্শনা থাকে যে, নির্মান কাজ শেষে টাকা উদ্বৃত থাকলে তা ৩০ জুন ২০২০ তারিখের মধ্যে ব্যাংক চালানের মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার। কিন্তু তৎকালিন ইউএনও হাসান মারুফ কমিউনিটি সেন্টারটি নির্মান না করেই সম্পুর্ন টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান। নির্মান কাজের মেয়াদ ৩ বছর পূর্বে উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও ওই টাকা অদ্যবধি সরকারি কোষাগারে জমা দেননি তিনি।
সরেজমিন পরিদর্শনে ওই এলাকায় কোন কমিউনিটি সেন্টার দেখতে না পেয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান, অনেকদিন থেকেই শুনছি আমাদের একটি কমিউনিটি সেন্টার করে দিবে। কিন্তু কোথায় করে দিবে, কবে করে দিবে এখনো জানিনা।
স্থানীয় চেয়ারম্যান নেজামুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে এখানে কমিউনিটি সেন্টার নির্মানের জন্য একটি বরাদ্দ এসেছিলো। পরে এটা কি হলো তা আমি জানি না, কারণ তখন চেয়ারম্যান ছিল আরেকজন।
সাবেক চেয়ারম্যান মফিজুন নুর খোকা’র সাথে কথা হলে তিনি জানান, একটি কমিউনিটি সেন্টার হবে শুনেছিলাম। কিন্তু পরে এটি করা হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।
উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আনোয়ার রহমান জানান, এই টাকাটা আমাদের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়ে নেয়া হয়েছিলো। কাজ শেষে আমাদের কাছে হিসাব বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও তা করেনি। যদি কাজ না হয়ে থাকে তাহলে টাকাটা কোথায় আছে তা আমার জানা নেই।
তৎকালীন ইউএনও হাসান মারুফ জানান, অর্থ বছরের শেষের দিকে বরাদ্দ হওয়াতে কাজটি করতে পারিনি। বর্তমান ইউএনও কাজটি করার কথা। টাকাগুলো সরকারি কোষাগারে কেন জমা দেয়া হয়নি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আফসানা আফরোজ জানান, আমি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আছি, বিষয়টি আমার জানা নেই।