Durnitibarta.com
ঢাকাবুধবার , ২৪ মে ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঈশ্বরগঞ্জে অটো রাইস মিলের লাইসেন্সে অনিয়ম দায় এড়াতে একে অপরকে দোষারুপ করছে কর্তৃপক্ষ

প্রতিবেদক
বার্তা বিভাগ
মে ২৪, ২০২৩ ১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

খাইরুল ইসলাম আল আমিন: অটো রাইস মিলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার আগেই লাইসেন্স পেয়েছেন মিলের মালিক। এমনকি নাম উঠিয়েছেন বরাদ্দের তালিকায়ও। সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিক এমন ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মেসার্স ভূইয়া অটো রাইস মিলের ক্ষেত্রে।

অনিয়মের দায় এড়াতে একে অপরকে দোষারুপ করছে কর্তৃপক্ষ। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সুপারিশের ভিত্তিতেই লাইসেন্স প্রদান করেছি কিন্তু উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলছে আমরা কোন প্রতিবেদন দেইনি যা করার জেলা থেকেই করা হয়েছে। আবার লাইসেন্সের মালিক বলছে আমি তো লাইসেন্সের জন্য সরকারী ফি-ই জমা দেইনি।

ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ৩টি অটো ও ৬টি হাস্কিং রাইস মিলের লাইসেন্স রয়েছে। গতবছর ২টি অটো রাইস মিলের লাইসেন্স থাকলেও এবছর মেসার্স ভ‚ইয়া অটো রাইস মিল নামের একটি নতুন লাইসেন্স (৩৫০/২২-২৩) সংযুক্ত হয়েছে।

নিয়ম রয়েছে রাইস মিলের লাইসেন্স পেতে মিল সম্পন্ন করা বাধ্যতামুলক। আর অটো রাইস মিল সম্পন্ন করতে বিদ্যুৎ সংযোগ, ডায়ার, বয়লার, শুটার আবশ্যক। লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবরে আবেদন দাখিল করার পর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নির্দেশে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিলটি সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন জমা দিবেন। তারপর নির্ধারিত লাইসেন্স ফি ট্রেজারি চালান মুলে জমা করলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিল লাইসেন্স ইস্যু করবেন।
সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে ভ‚ইয়া অটো রাইস মিলটির বাহির থেকে অস্তিত্ব দেখা গেলেও ভিতরে নেই মিলের যন্ত্রাংশ। নেই বয়লার, অসম্পূর্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সাবষ্টেশন, ডায়ার, শুটারসহ অন্যান্য কাজ।

মিল সম্পন্ন না করেই লাইসেন্স পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিল মালিক আব্দুস ছাত্তার ভূইয়া জানান, লাইসেন্সের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছি কিন্তু লাইসেন্স বাবদ সরকারি ফি এখনো জমা দেইনি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সাথে চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে বরাদ্দের তালিকায় আমার নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে।

জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, মিল সম্পন্ন না করে লাইসেন্স পাওয়ার কোন বিধান নেই। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিল সরেজমিন পরিদর্শন করে আমাদের সুপারিশ করেন। আর তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই আমরা লাইসেন্স প্রদান করেছি। প্রকৃতপক্ষে যদি মিলটি অসম্পন্ন থাকে তাহলে ওই মিলের বরাদ্দ বাতিল করা হবে।

আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আবু নঈম মোঃ সফিউল আলম বলেন, মিল সম্পূর্ণ না করে লাইসেন্স ও বরাদ্দ পাওয়ার কোন নিয়ম নেই। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের পাঠানো প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক লাইসেন্স প্রদান করে থাকেন।

এদিকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কথা অস্বীকার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জয়নাল আবেদিন ও (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) সাইফুল ইসলাম বলেন, অটো রাইস মিলের লাইসেন্সের বিষয়টি সম্পূর্ন-ই জেলা থেকে নিয়ন্ত্রন করা হয়। আমরা কোন প্রতিবেদন দেইনি, যা করার জেলা থেকেই করা হয়েছে।